নাজিম হাসান/দৈনিক বার্তা : রাজশাহীর বাগমারার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের শ্রীপতিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম শেলি এবং প্রতিবেশি মাহাবুর রহমান সুইটের মধ্যে বিবাদমান জমি দখল নিয়ে এখন চরম উত্তেজনা বিরাজ করেছে। যে কোনো মূহুর্তে সেখানে জমি দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসি। এই পরিস্থিতিতে ওই এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে বলে থানা সূত্র জানায় ।
গতকাল শুক্রবার সরজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে উপজেলার শ্রীপতিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম শেলি পৈত্রিক ও দান কবলা দলিল সূত্রে পাওয়া জমিতে গত বুধবার পাকাঘর নির্মান কাজ শুরু করেন। এ সময় প্রতিবেশি মৃত কায়েম উদ্দিনের ছেলে মাহাবুর রহমান সুইট তার পক্ষের লোকজন নিয়ে এসে ঘর নির্মান কাজে বাধা দেন। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি চরম আকার ধারন করায় তাৎক্ষনিভাবে পুলিশ এসে তা নিয়ন্ত্রন করে। এ ঘটনায় এ্যাডভোকেট শেলি বাদী হয়ে তার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে মাহাবুর রহমান সুইটসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে বাগমারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে মাহাবুর রহমান সুইট দাবি করেন, এ্যাডভোকেট শেলি দীর্ঘ দিন ধরে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে তার পৈত্রিক ও ক্রয় সূত্রে পাওয়া জমি দখলের চেষ্টা করে আসছেন। এ ব্যাপারে বাগমারা থানা এবং রঅজশাহী আদালতে পৃথক পৃথকভাবে তার বিরুদে একাধিক মামলা করা হয়েছে। তারপরও এ্যাডভোকেট শেলি ওই জমির উপর পাকাঘর নির্মানের উদ্যোগ নেন। তবে ঘর নির্মান কাজে বাধা দেয়ার কথাও তিনি স্বীকার করেন।
অপরদিকে এ্যাডভোকেট শেলি বলেন, তার বিরুদ্ধে জমি দখলের যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। তিনি তার পৈত্রিক ও দান কবলা দলিল মূলে প্রাপ্ত সম্পত্তির উপর ঘর নির্মান করছেন। তারপরও মাহাবুর বারবার ঝামেলা সৃষ্টি করায় স্থানীয় লোকজন তা নিরশনের জন্য তাদের বিবাদমান জমি ভাগবাটোয়ারা করে দেন। এরপর মাহাবুর কয়েকজন চাঁদাবাজদের সঙ্গে নিয়ে ঘর নির্মান কাজে বাধা দেয় এবং তার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ ঘটনায় মাহাবুরসহ ৫ বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করায় তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, এ ঘটনায় এ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম শেলির পক্ষ থেকে একটি এবং মাহাবুর রহমান সুইটের পক্ষ থেকে থানা ও আদালতে এ পর্যন্ত ৭ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে মাহাবুরের একাধিক মামলার প্রেক্ষিতে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের নির্দেশ বিষয়টি তদন্ত করে সংশি¬¬¬ষ্ট আদালতে কয়েক দিন আগে একটি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। বাকি কাজ এখন বিজ্ঞ আদালতের। তবে দু’পক্ষের মধ্যে এখনো চরম উত্তেজনা বিরাজ করায় সংঘর্ষের আশঙ্কায় ওই এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।