হাসিব রহমান/দৈনিক বার্তা : ভোলার মনপুরা-তজুমদ্দিন নৌ-রুটে সরকারি এক মাত্র নির্ভর যোগ্যযান যাত্রীবাহী সীট্রাকটি গত ৪ দিন ধরে বিকল হয়ে পড়ায় যাত্রীরা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে। বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মনপুরা উপজেলায় যাওয়ার একমাত্র সী ট্রাক বিকল হওয়ায় প্রতিদিন শত শত যাত্রী জীবনের ঝুকি নিয়ে ছোট ছোট মাছ ধরা ট্রলারে করে রাক্ষুসে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিচ্ছেন। কাল বৈশাখী মৌসুমে যে কোন সময়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, গত এপ্রিল মাসে যান্ত্রিক ত্রুটিতে টানা ১৭ দিন বন্ধ থাকে বিআইডব্লিউটিসি’র যাত্রীবাহি সী-ট্রাক এস.টি শহীদ শেখ জামাল । ২২ এপ্রিল তড়িগড়ি করে এই রুটে সী-ট্রাকটি চালু হলেও গত ৬ মে থেকে ফের বন্ধ হয়ে যায় । এবারও যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানান সী-ট্রাকের ইঞ্জিন ড্রাইভার সীফাত। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এস.টি শহীদ শেখ জামাল সী-ট্রাকটি বহু পুরনো। সী-ট্রাকের মাস্টার মোঃ আবদুল জলিল সাংবাদিকদের জানান, সি-ট্রাকের ইঞ্জিন নতুন করে প্রতিস্থাপন না করলে বারবার বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। তাছাড়াও টেন্ডারে পাওয়া এস.কে ট্রেডার্স ইচ্ছে করে অত্যাধুনিক সী-ট্রাক বাদ দিয়ে শুধু তেল খরচ বাঁচাতে বারবার মান্দাতার আমলের সী-ট্রাক বরাদ্ধ করে নিয়ে আসে বলে অভিযোগ রয়েছে। যাত্রীরা ক্ষোভের সাথে বলেন, জরুরী কাজ থাকায় জীবনের ঝুকি নিয়ে ছোট ট্রলারে করে মনপুরা যেতে হচ্ছে। যতক্ষন ট্রলারে ছিলাম শুধু আল্লাহর নাম ঝঁপেছি। এদিকে ব্যাস্ত এই নৌরুটে প্রতিদিনই ব্যবসায়ীদের লক্ষ লক্ষ টাকার মালামাল আসে তজুমদ্দিনসহ অন্যান্য উপজেলা থেকে। অনেক ব্যবসায়ী ভয়ে মালামাল আনতে পারছেননা। আবার যারা ঝুকি নিয়ে মালামাল ছোট ট্রলারে করে আনার সাহস করছেন তাদের বেশীরভাগ মালামালই ঢেউয়ের ছিটকে পড়ে ভিজে যাচ্ছে। ফলে তাদের লাভের চেয়ে লোকসানের মাত্রাই বেশী হচ্ছে। ফলে ব্যবসায়ীদের মাঝেও ক্ষোভের কমতি নেই। যাত্রীরা এ ধরনের র্দূভোগ থেকে চিরস্থায়ী পরিত্রান চায়। এদিকে ওই সি-ট্রাকের ইজারাদার এস.কে ট্রেডার্সের ম্যানেজার ভুট্টো বলেন, ইঞ্জিন ত্রুটির জন্য সী-ট্রাক বন্ধ রয়েছে। মেরামতের চেষ্ট চলছে। তবে কবে নাগাদ চালু হবে তিনি বলতে পারছেন না। এব্যাপারে মনপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্যাহ আল বাকী সাংবাদিকদের বলেন, সী-ট্রাক কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ হয়েছে। তারা ইঞ্জিন ত্রুটির কথা বলেছেন। দ্রুত ইঞ্জিনের কাজ সম্পন্ন করে সীট্রাক যাত্রী পরিবহনে রেগুলার হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ।