দৈনিক বার্তা :আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণুবিজ্ঞানী, বিজ্ঞান লেখক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৯ সালের ৯ মে তিনি মারা যান। শুক্রবার সকালে পাবলিক লাইব্রেরিতে ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। এ ছাড়া মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পীরগঞ্জের ফতেপুর গ্রামে কবর জিয়ারত, দিনব্যাপী কোরআনখানি, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় দিবসটি স্মরণে বৃহস্পতিবার জাতীয় সমন্বিত উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় পৃথক কর্মসূচি পালন করেছে। জাতীয় সমন্বিত উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিকালে শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে আগারগাঁওয়ে পরমাণু শক্তি কমিশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেপুর গ্রামে তার জন্ম। মরহুম আবদুল কাদের মিয়া ও মরহুমা ময়জান নেছার সন্তান ওয়াজেদ মিয়া ‘সুধা মিয়া’ নামেই সমধিক পরিচিত ছিলেন। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশনে তার চাকরি জীবনের শুরু। পরে আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানেরও দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন ও ১৯৬১ সালে ফজলুল হক হলের ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিয়ে করেন।
ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া স্নাতক পর্যায়ের বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য দুটি বই লিখছেন- Fundamentals of Thermodynamics ও Fundamentals of Electromagnatics। বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে তার দুটি বই হলো- ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ঘিরে কিছু ঘটনা ও বাংলাদেশ’ (১৯৯৩) ও ‘বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকারের চালচিত্র’ (১৯৯৫)। এ ছাড়া পদার্থবিজ্ঞান ও রাজনীতি বিষয় আরও কিছু বই লিখেছেন।
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে তার স্মৃতিতে ড. ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।