দৈনিক বার্তা : মারামারি ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।শুক্রবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার বের হন তিনি।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার জান্নাতুল ফরহাদ জানান, এই বিএনপি নেতার জামিনের কাগজ-পত্র বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে কারাগারে পৌঁছে।পরে তা যাচাই-বাছাই করে শুক্রবার সকালে তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
মুক্তির পর কারাফটকে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা তাকে অভিনন্দন জানান।রাজধানীর রামপুরা থানার মারামারি ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের একটি মামলায় ২০ এপ্রিল তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত বুধবার হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা এক মামলায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ছয় মাসের অন্তর্ব্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। এর আগে একই মামলায় গত ২৯ এপ্রিল বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমানের ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করেছিলেন হাইকোর্টের অপর এক বেঞ্চ। ওই বেঞ্চ গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের আবেদনের শুনানি গ্রহণে বিব্রতবোধ করেছিলেন।
কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের জামিনের কাগজপত্র বৃহস্পতিবার রাত সোয়া আটটার দিকে কারাগারে পৌঁছেছে। পরে তা যাচাই করে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। এ সময় কারা-ফটকে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৯ ডিসেম্বর বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ডাকা গণতন্ত্রের অভিযাত্রা কর্মসূচি চলাকালে মালিবাগের চৌধুরীপাড়ায় ছাত্রশিবিরের একজন কর্মী নিহত হন। এ ঘটনায় রামপুরা থানায় ৩০ ডিসেম্বর একটি মামলা হয়। ওই মামলায় ২০ এপ্রিল আমানউল্লাহ আমান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নিম্নআদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।