2দৈনিক বার্তা :সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুদ হুদা আবারো একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন।নতুন  এই দলের নাম  বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (বিএনএ)। বুধবার বিকাল তিনটায় জাতীয়  প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এই নতুন দলের নাম  ঘোষণা করেন।

এ সময় নতুন দলের ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির নামও ঘোষণা করেন নাজমুল হুদা।এ দলের চেয়ারম্যান থাকছেন নাজমুল হুদা নিজেই। মহাসচিব করা হয়েছে কমান্ডার এসএম শহীদুর রহমানকে।

১৩ সদস্যের অন্যরা হলেন, ভাইস  চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফিরোজ উদ্দিন আহমেদ, আবদুল্লাহ জিয়া,  মেজর অব. হাবিব, ড. জাবেদ সালাহউদ্দিন, শামসুল আলম খান।যুগ্ম-মহাসচিব  মো. ফয়েজ উদ্দিন,  কোষাধ্যক্ষ শামীম আহসান,দফতর সম্পাদক আক্কাস আলী খান, যুব বিষয়ক সম্পাদক  মেহেদী হাসান রাজু,মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সাচী আরাফাত  চৌধুরী।নতুন এই কমিটি আগামী ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারির মধ্যে দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবে।

নাম ঘোষণার পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর  দেন নাজমুল হুদা।তিনি বলেন, চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়েও সরকারের পতন ঘটাতে পারেনি বিএনপি। তাই বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলন কতটা শক্তিশালী হবে তা সহজে অনুমেয়,  সেই ধারণা  থেকে মনে হচ্ছে পাঁচ বছরের আগে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না।

নাজমুল হুদা বলেন, সরকার পতনের কোনো ইস্যু যদি সৃষ্টি করা যায়, সেক্ষেত্রে আদালতের মাধ্যমে সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করা যেতে পারে।

বিএনপি আহ্বান করলে দলে ফিরবেন কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি  যে ভুল পথে দুর্বল হয়ে হাটছে তাতে করে তারা আহ্বান করলেও আমি আর ফিরে যাবো না।

নিজের প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট’র (বিএনএফ)

মানবাধিকার বাস্তবায়নের মাধ্যমে সুষ্ঠু রাজনীতির ভিত্তিতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি ও দলীয়করণ নির্মূল করা এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত সমাজ গঠণের লক্ষ্যে কাজ করে যাবে বিএনএ,  যোগ করেন নাজমূল হুদা।

নাজমুল হুদা বলেন,দেশে একের পর এক গুম,হত্যা হচ্ছে।দেশে আইন থাকা সত্বেও দুই প্রধান রাজনৈতিক দল একে অপরকে দুষছেন। এমন পরিস্থিতিতে দেশে রাজনীতিতে পরিবর্তনের চাহিদা  তৈরি হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে একটি উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।এ প্রয়াস  থেকেই আজ নিজ দলের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

নাজমুল হুদা বলেন, ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি দলের প্রথম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। খুব শিগগির দলের প্রচারপত্র, গঠনতন্ত্র, নির্বাহী কমিটি, স্থায়ী কমিটি গঠন করা হবে। ওই সময় পর্যন্ত দলকে চালিয়ে  নেওয়ার জন্য একটি জাতীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হচ্ছে।

২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত দলের একটি এডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আপনারা  কোনো নির্বাচনে অংশ নিবেন কিনা- এমন এক প্রশ্নের জবাবে নাজমুল হুদা বলেন, আমরা ধরে নিয়েছি আগামী ৫ বছরের আগে  দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। তাই এই সময়ে আমরা দলকে  গোছাবো। এরপর নির্বাচনে অংশ নিব। আর যদি মধ্যবর্তী  কোনো নির্বাচন হয়, তবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও দল গোছানোর কাজ করে যাব।দল গোছানোর জন্য আমাদের কমপক্ষে পাঁচ বছর সময় প্রয়োজন।

পাঁচ বছর আগে েেকনো নির্বাচন হবে না- এর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বিএনপির সাবেক এই  নেতা বলেন, যে দলটি (আওয়ামী লীগ) প্রায় শক্তি হারিয়ে ফেলেছিলো তারা যেকোনো উপায়ে নির্বাচন করে যখন ক্ষমতায় আসতে পেরেছে এবং বিএনপি  যেহেতু সেটা প্রতিরোধ করতে পারেনি তাই বলা যায়, আগামী ৫ বছরের আগে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।

নতুন দল সরকারকে সহযোগীতা করবে কি-না এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার যদি ভাল কাজ করে তবে অবশ্যই তাদের সহযোগিতা করবো। আর যদি ভাল কাজ না করে তবে সাহায্য করার প্রশ্নই আসে না।

বিগত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আপনার দলের সমর্থন আছে কিনা জানতে চাইলে নাজমূল হুদা বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে বিগত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সমর্থন করি না। কারণ সেখানে ভোট হয়নি।তবে এটাও সত্য যে বিএনপি’র কিছু ভুলের কারণে সরকার নির্বাচন করতে  পেরেছে। বিএনপি যদি নির্বাচনে যেত তবে অবশ্যই তারা বিজয়ী হতো।

কারণ কারচুপি করার একটা ডিগ্রি আছে। বিএনপি’র জনসমর্থন ছিল তাতে কারচুপির পরও তারা ক্ষমতায় আসতে পারতো বলে মনে করেন সাবেক এই মন্ত্রী।