1দৈনিক বার্তা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানীসহ বিভিন্ন খাতে আরো বিনিয়োগ করার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতকে (ইউএই)’র প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।তিনি বলেন, আমি আশা করি, ইউএই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানীসহ বিভিন্ন খাতে আরো বিনিয়োগ করবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএই’র রাষ্ট্রদূত ডা. সাঈদ বিন হাজার আল শিহি আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করলে তিনি এ আহবান জানান।বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল সাংবাদিকদের একথা জানান।প্রধানমন্ত্রী ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে বলেন, ভ্রাতৃপ্রতিম মুসলিম দেশের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ বাড়াতে চাই।

জবাবে ইউএই রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে তার দেশের সর্বাত্মক সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।ডা. সাঈদ ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ইউএই সফরের কথা উল্লেখ করেন।তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের জন্য ইউএই’র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর একটি আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন।আমন্ত্রণ গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে তিনি ইউএই সফরে যাবেন।এ্যাম্বাসেডর-এট-লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবদুস সোবহান সিকদার ও বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে  বেলজিয়ামের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত পিয়ের ভেসেন।বুধবার  শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে  দেখা করে তিনি গত এক দশকে বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন।

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল সাংবাদিকদের বলেন,  বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ১০ বছর আগে  যে বাংলাদেশ তিনি  দেখেছিলেন, তার চেয়ে অনেক অগ্রগতি হয়েছে।

বিশেষত, সামজিক ও অবকাঠামোগত খাতে বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা বলেন পিয়ের  ভেসেন।  তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশবাসী বাংলাদেশকে আরো সামনের দিকে আরো এগিয়ে নেবে।রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর উদ্ধার ও ক্ষতিগ্রস্ততের পুনর্বাসনে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করেন  বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূত।দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আগামীতে আরো জোরদারের আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন,  বেলজিয়াম ইউরোপের প্রথম  দেশগুলোর মধ্যে একটি যারা বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।

প্রধানমন্ত্রী  তৈরি  পোশাক শিল্প শ্রমিকদের উন্নয়নের তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, গত পাঁচ বছরে তার সরকারের সময়ে শ্রমিকদের মজুরি ২২৬ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের লক্ষ্য আর্থ-সামাজিক এবং জনগণের জীবনযাত্রার উন্নয়ন।গ্রামীণ অর্থনীতিতে মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে বর্তমান সরকার গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি গড়ে তুলতে কাজ করছে।

শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের সুফল গ্রামীণ জনগণ সরাসরি পাচ্ছে বলেও সরকার প্রধান উল্লেখ করেন।অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবদুস সোবহান শিকদার, বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক  বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা এবং আট  খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক সহায়তার  চেক তুলে  দেন।

একই সময়ে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতিকে দুই  কোটি টাকার অনুদানের  চেক  দেয়া হয়। সমিতির সভাপতি আব্দুর রশীদের কাছে এই চেক হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী।