1দৈনিক বার্তা :শ্রমিক নেতা আব্দুল গাফফার বিশ্বাস হত্যা মামলার ঝিনাইদহে সদর পৌরসভার মেয়রসহ ১৮ জন শ্রমিক নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করার প্রতিবাদে অনির্দিষ্ট কালের সর্বাত্মক হরতাল চলছে। বুধবার সকাল থেকে শুরু হওয়া হরতালে দক্ষিনাঞ্চলের সব ধরনের সড়ক যোগাযোগ অচল হয়ে পড়েছে। গোটা এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আইন শৃংখলা বাহিনীকে সর্তক রাখা হয়েছে। এর আগে সোমবার শ্রমিক নেতা আব্দুল গাফফার বিশ্বাসকে হত্যার প্রতিবাদে সকাল-সন্ধ্যা পরিবহন ধর্মঘট পালন করে জেলা শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
এদিকে ঝিনাইদহ পৌরসভার সকল ধরনের কর্মকান্ড বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সকাল থেকে কাউন্সিলর সহ কর্মকর্তা কমর্চারি অর্নিদিষ্ট কালের জন্য কর্ম বিরতি শুরু করেছে। তারা নগর ভবনের বারান্দায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসুচী পালন করছে। মেয়রসহ ১৮ শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রতাহার না করা পর্যন্ত তারা কাজে যোগ দেবে না বলে জানিয়েছেন কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল হান্নান। পরিছন্ন কর্মিরা কাজ থেকে বিরত রয়েছে। নগর জীবনে চরমর্দুভোগ দেখা দিয়েছে। তবে বিশেষ ব্যবস্থায় পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু রাখা হয়েছে।
জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ও জেলা দোকান মালিক সমিতি যৌথভাবে  মঙ্গলবার রাতে এ হরতালের ডাক দেয়। মিথ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ সর্মথকরা পৃথক ভাবে জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে।
হরতাল সফল করতে সকাল থেকে জেলা শহরের মোড়ে বাস ট্রাক দিয়ে সড়কে বেরিকেড তৈরী করা হয়েছে। জেলা শহরের সব ধরনের দোকান বিপনী বিতান বন্ধ রয়েছে। সম্পুর্ন অচল হয়ে পড়েছে। আতংক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। এখন পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
গত সোমবার রাত ৪টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর বড় ব্রীজের কাছে র্দুবৃত্তরা শ্রমিক নেতা আব্দুল গাফফার বিশ্বাসকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ হত্যার ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই রেজাউল বিশ্বাস বাদি হয়ে ঝিনাইদহ পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু, বাস মালিক সমিতির সভাপতি রোকনুজ্জামান রানু, বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের আহবায়ক হাবিবুর রহমান রিজুসহ ১৮ জন শ্রমিক নেতাকে আসামী করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে মঙ্গলবার রাত ৯টা থেকে জেলা শহর অচল হয়ে পড়ে।