মোস্তাফিজুর রহমান টিটু/দৈনিক বার্তা : গাজীপুরে একটি হত্যা মামলার রায়ে ৪ জনকে যাবজ্জীবন ও অপর ৫জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করেছেন আদালত। মঙ্গলবার গাজীপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ মনির কামাল এ রায় প্রদান করেন। যাবজ্জীবন দন্ড প্রাপ্তরা হলো- খোরশেদ (৪৫), হানিফ (৪৫), আব্দুর রহমান (৫০) ও শহিদ ওরফে শহিদুল্লাহ। তাদের বাড়ি নরসিংদী ও শিবপুর এলাকায়।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর সদর উপজেলার নাওজোর এলাকায় এগস্ এন্ড হেনস্ লিঃ এর বাংলোর ২য় তলার শয়নকক্ষে ৭-৮ জনের একদল ডাকাত হানা দেয়। গৃহকর্তা একরামুল হোসেন ডাকাতি কাজে বাধা দিলে ডাকাতরা একরামুলকে ছুরিকাঘাত করে আহত করে। এসময় তার স্ত্রী তৌহিদা স্বামীকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে তাকেও ছুরি দিয়ে রক্ষাক্ত জখম করে। পরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আলমারি ভেঙ্গে নগদ সাড়ে তিন লাখ টাকা, ২টি ক্যামেরা, দুইটি হাত ঘড়ি ও একটি একনলা বন্দুক লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতদের হামলায় গুরুত্বর আহত একরামুল হোসেনকে গাজীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী তৌহিদা হোসেন ওই বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি ২৩জনকে আসামি করে জয়দেবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৫ জুলাই ২৩ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশীট প্রদান করেন। পরে ১৩জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে উল্লেখিত আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতিত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন স্বশ্রম কারাদন্ড, প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন। এছাড়া মামলার আসামি জহুরা, মাজেদা, আব্দুর রহমান, ইকবাল ও শাহ আলমের বিরুদ্ধে দন্ডবিধি আইনের ৪১২ ধারা সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে চার বছরের করে সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১৩ আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।