1দৈনিক বার্তা :  নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, নৌ-পুলিশ গঠনের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।

 

নৌ-মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ৭৩০ জন জনবল নিয়ে নৌ-পুলিশের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।নৌ-পথে যাত্রী ও নৌ-যান চলাচল নিশ্চিত করতে কোস্ট র্গাড ও নৌ-পুলিশকে আরো শক্তিশালী করা হবে।

 

রোববার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত নৌ-পথে যাত্রী ও নৌ-যান চলাচল নিশ্চিত করন বিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

এর আগে নৌ-পথে যাত্রী ও নৌ-যান চলাচল নিশ্চিত করতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্কমর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

 

নৌ পরিবহন মন্ত্রী বলেন, নৌযাত্রী ও নৌযানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে নৌযানের ত্রুটিমুক্ত চলাচল, ভালোভাবে পরিচালনা, কালবৈশাখীর সময় সাবধানে চলাচল এবং চাঁদাবাজি ও ডাকাতি ঠেকাতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

নৌপথের নিরাপত্তায় নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ড সমন্বিতভাবে দায়িত্ব পালন করবে। নৌপথে অনেক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। বালু মহলের বালু উত্তোলনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটে। চাঁদাবাজি ও ডাকাতি রোধে নৌ-পরিবহন, ভূমি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈঠক করবে।

 

মন্ত্রী জানান, একজন যুগ্মসচিবকে প্রধান করে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। চিহ্নিত করা হয়েছে ডাকাতির ঘটনার স্থানগুলো।ষোলটি জেলার অভ্যন্তরীণ নৌরুটের স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে, সুনামগঞ্জ থেকে আশুগঞ্জ পর্যন্ত বৈদ্যের বাজার, ষাটনল, মোক্তারপুর, গজারিয়া, মেঘনাঘাট ও বসিলা।

 

নৌমন্ত্রী আরও বলেন, ডাকাতির ঘটনায় সন্ত্রাসীদের তালিকা তৈরি করবে কমিটি। তালিকা পাওয়ার পর দোষীদের বির“দ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের কোন রাজনৈতিক পরিচয় দেখা হবে না।

 

অদক্ষ নৌ-পরিবহন ড্রাইভার ও মাষ্টারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে উল্লেখ করে নৌমন্ত্রী বলেন, ডাইভার ও মাস্টারদের প্রশিক্ষণের জন্য ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট করেন। ১৯৯৬ সালের আগে আর কোনো সরকার এ উদ্যাগ নেয়নি।

 

শাজাহান খান বলেন, নৌপথে রাতে বালুবাহী জাহাজ ও কার্গো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতে দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব হবে।