দৈনিক বার্তা : সম্প্রতি গবেষকেরা জানালেন উটের শরীর থেকে কিছু ভাইরাস মানব দেহে ছড়াতে পারে৷ এই ভাইরাসের নাম মিডিল ইস্ট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম (এমইআরএস) করোনাভাইরাস৷ ভিয়েনার ভেটেনারি মেডিসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈজ্ঞানিকরা দেখেছেন এই মিইআরএস করোনাভাইরাস মানুষ এবং উটের মধ্যে একই অঞ্চলে দেখা গেছে এবং এগুলিকে চিহ্নিত করা যায়৷
এমইআরএস করোনাভাইরাস প্রথম ২০১২ সালের জুন মাসে সৌদি আরবের এক রোগীর মধ্যে দেখা যায় যিনি কঠোর নিউমোনিয়ার ভুগছিলেন৷ গবেষণায় দেখা যায় আরবের উটেরাই এই সংক্রামক রোগের প্রধান বহনকারী৷ যদিও মানব দেহে এই ভাইরাস কিভাবে সংক্রামিত হয় তা এখনও জানা যায়নি৷
ভিরোলজি ইনস্টিটিউটের দুই ভিরোলজিস্ট নরবার্ট নোওটনি এবং জোলান্টা কোলোডযেইজেক এই ভাইরাসের সংক্রমণের পথ গবেষণা করছেন৷ তারা দেখেছেন মানবদেহ ও উটের দেহে এই ভাইরাস সংক্রমণের প্রধান কারণ ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট৷ নোওটনি জানিয়েছেন প্রাণী এবং মানব দেহে এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রক্রিয়া ‘জুনোসিস’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়৷ তিনি আরও জানান, উটের জন্য নতুন প্রতিষেধক তৈরির করা ভাবা হয়েছে, এর ফলে তারা খুব তাড়াতাড়িই হয়তো এই ভাইরাসের সংক্রমণকে রুখতে পারবেন৷
ওমান প্রদেশের ৭৬ টি উটের উপর বৈজ্ঞানিকরা গবেষণা চালান৷ এছাড়াও কাতার ও মিশরের উটের উপরেও পরীক্ষা করা হয়৷ তারা দেখেন ভাইরাসের ধরন আঞ্চল ভিত্তিক ভাবে ভিন্ন৷ নোওটনি জানিয়েছেন, এর থেকেই বোঝা যায় কোন উটের উপরেই এই নিপ্দিষ্ট ভাইরাসের চাপ নেই তবে এটি উট এবং মানুষ উভয়কেই আক্রমণ করতে পারে৷ উটের অনুনাসিক শৈষ্মিক ঝিল্লী ও কনজাংটিভায় এই ভাইরাসের মাত্রা অতিরিক্ত৷ তাই গবেষকেরা অনুমান করছেন নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের ফলেই এই ভাইরাস ছড়ায়৷ যারা তীব্র নিউমোনিয়ার শিকার তাদের ক্ষেত্রেই এই ভাইরাসের সংক্রমণ হওয়ার সম্ভবনা বেশি৷ যদিও এখনও পর্যন্ত আরবীয় অঞ্চলেই একমাত্র এই ভাইরাসের প্রভাব দেখা গেছে৷ যদিও একজন মানুষ থেকে অন্য মানুষের শরীরেও এই ভাইরাস ছড়াতে পারে৷
সম্প্রতি এই গবেষণাটি ‘ইউরোসার্ভিলেন্স’ নামক এক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে৷