দৈনিক বার্তা : পদ্মা সেতুর মূল কার্যাদেশ জুনের শেষ সপ্তাহে নয়, প্রথম সপ্তাহে বলে জানিয়েছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার সকালে মাওয়ায় পদ্মা সেতুর কাজ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নদী শাসনের আর্থিক প্রস্তাব ২৯ মে। এ ছাড়া মাওয়া-বাবুবাজার ঘাট পর্যন্ত ৩৩ কিলোমিটার চার লাইনের কাজ ডিপিপি প্রজক্টের আওতায় চলমান।
যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, জুন মাসের শেষ সপ্তাহে কার্যাদেশ দেয়ার কথা থাকলেও এখন জুন মাসের প্রথম সপ্তাহেই এ কার্যাদেশ দেয়া সম্ভব হবে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে মাওয়া অ্যাপ্রোচ রোডের কাজ অনেকাংশে এগিয়ে গেছে। মূল ব্রিজ জুনের মধ্যে কার্যাদেশ দেয়ার কারণে মাওয়া ঘাটকে জরুরি ভিত্তিতে স্থানান্তর করতে গিয়ে আপাতত শিমুলিয়া বাজারের কাছে স্থানান্তরের কাজ শুরু হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আড়াই কিলোমিটার রাস্তার কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী। তবে মাওয়া ঘাটকে স্থায়ীভাবে কান্তিপাড়ায় স্থানান্তর করা হবে। তার জন্য এক বছরের সময় প্রয়োজন। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর কাজ দ্রুত শুরু করার কারণেই মাওয়া ঘাটকে শিমুলিয়ায় আপাতত অস্থায়ীভাবে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, মাওয়া তীর রক্ষা বাঁধের কাজ প্রায় শেষ। ১৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পে সেনাবাহিনী ইতোমধ্যে ১৪ লাখ জিও ব্যাগের মধ্যে ১০ লাখ নদীতে ফেলেছে। আগামী ৩/৪ দিনের মধ্যে বাকি জিও ব্যাগ ফেলা শেষ হবে। সে ক্ষেত্রে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশা করছেন। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে নদী শাসনের কাজকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এ জন্য আগামী ২৯ মে প্রকল্পে নদী শাসনের কাজের আর্থিক প্রস্তাব দাখিল করবে ৪ প্রতিষ্ঠান।