11দৈনিক বার্তা :গুম ও হত্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নাগরিক সমাজ।শুক্রবার নাসিরউদ্দীন ইউসুফ স্বাক্ষরিত এক  বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।দেশের বিশিষ্ট ১২ জন নাগরিক এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।তারা হলেন-অধ্যাপক সালাহউদ্দীন আহমেদ, অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম  চৌধুরী,অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক অজয় রায়, মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল, ডা. সারওয়ার আলী, রামেন্দু মজুমদার, মফিদুল হক, আতিউর রহমান, মামুনুর রশীদ এবং নাসির উদ্দীন ইউসুফ।
বিজ্ঞপ্তিতে এ বিশিষ্ট নাগরিকরা বলেন, সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ পৌর করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও কমিশনার নজরুল ইসলাম ও তার পাঁচ সহযোগী এবং আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার চালককে প্রকাশ্যে অপহরণ করা হয়েছে। পরে তাদের হত্যা করে শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে  দেয়ায় আমরা স্তম্ভিত ও ক্ষুব্ধ।  শুক্রবার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দীন ইউসুফ ইমেইলে ওই বিবৃতি পাঠান।

এতে বলা হয়, অতি সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে  পৌর করপোরেশনের প্যানেল  মেয়র কমিশনার নজরুল ইসলাম ও তার পাঁচ সহযোগী এবং সম্মানিত আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার চালককে প্রকাশ্য দিবালোকে অপহরণ ও পরে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার ঘটনায় আমরা স্তম্ভিত ও ক্ষুব্ধ  বোধ করছি।

গত  রোববার নজরুল ও চন্দন সরকার ছাড়াও অপহৃত হন  শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কমিটির সহসভাপতি তাজুল ইসলাম,নারায়ণগঞ্জের ৭নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগকর্মী মনিরুজ্জামান স্বপন ও লিটন, চন্দনের গাড়িচালক মো. ইব্রাহিম এবং নজরুলের গাড়িচালক মো. জাহাঙ্গীর।

তিন দিন পর বুধবার দুপুরের পর বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকা সংলগ্ন শীতলক্ষ্যা নদীতে হাত-পা বাঁধা ছয়টি লাশ ভেসে ওঠে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে নদীর ওই এলাকা থেকেই আরেকটি লাশ উদ্ধার করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, তারা মনে করেন বিভিন্ন অপহরণের ঘটনা তদন্ত, অপহৃত ব্যক্তিদের উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা প্রয়োগকারী বাহিনীর ব্যর্থতা বর্তমান সংকটজনক পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছে।আর এই অবস্থায় লুটেরা দুর্বৃত্ত অপরাধী চক্র এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী তাদের অশুভ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সুযোগ লাভ করছে।

উদার অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে বাংলাদেশের অভিযাত্রা বিপথগামী করার জন্য প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য যেসব ষড়যন্ত্র হচ্ছে তা কঠোর হাতে দমন করারও দাবি জানিয়েছেন এই জ্যেষ্ঠ নাগরিকরা।