দৈনিক বার্তা : অপহরণ, গুম, হত্যাসহ সাম্প্রতিক কর্মকান্ডে মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। জাতি আজ বিশেষ সন্ধিক্ষণ অতিক্রম করছে। মানুষের নিরাপত্তায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। এ অবস্থা থেকে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর ভূমিকা নিতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
শুক্রবার বরগুনায় দুইদিনব্যাপী এক মানবাধিকার কর্মশালায় এ কথাগুলো বলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।সকাল ১০ টায় হোটেল কুয়াকাটা ইন মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও ফারিয়া লারা ফাউন্ডেশন দু’দিনব্যাপী মানবাধিকার কর্মশালা ও মানবাধিকার কর্মী সমাবেশের আয়োজন করে।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, দেশের এ অবস্থার প্রধান দায় বর্তায় রাষ্ট্রের ওপর। তবে এ কথাও মনে রাখতে হবে নাগরিকদের নিরাপত্তা, মানবাধিকার সুরক্ষা রক্ষা করা কেবল সরকারের একার দায়িত্ব হতে পারে না। আর এটা পারস্পরিক দোষারোপের বিষয়ও নয়। রাষ্ট্র ও সরকারের ওপর দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়ে নীরবে বসে থাকা যুক্তিযুক্ত নয়।
কর্মশালায় জানানো হয়, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় পর্যাপ্ত আইন আছে। তবে প্রয়োগে শৈথিল্যের কারণে ক্ষেত্র বিশেষে সাফল্য আসছেনা।নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এক শ্রেণীর মানুষের পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা অন্তরায় হিসেবে কাজ করে। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধের জন্য গণসচেতনতা প্রয়োজন।কর্মশালায় মানবাধিকার কর্মী, ফারিয়া লারা ফাউন্ডেশনের সদস্য, আইনজীবী ও সাংবাদিকগণ অংশগ্রহণ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন,জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য ও ফারিয়া লারা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিনা হোসেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নিরূপা দেওয়ান, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক (অধিকার) বনশ্রী মিত্র নিয়োগী, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সচিব এম এ সালাম, পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিমুল হক, কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন ও ফারিয়া লারা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন খান।
কর্মশালায় মানবাধিকার, নারী অধিকার, নারী শিক্ষা বিষয়ে বেশ কয়েকটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। কর্মশালায় বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলার প্রশাসনের কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মী ও তৃণমূল পর্যায়ের মানবাধিকারকর্মীসহ ৭০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। শনিবার দ্বিতীয় অধিবেশন।
