23দৈনিক বার্তা : বোরিংয়ের মাধ্যমে  তিস্তা সেচ প্রকল্পের প্রধান খাল থেকে পানি নেয়ার সময় নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় তিস্তা সেচ প্রকল্পের প্রধান খালের ডান তীর বাঁধের একটি অংশ ভেঙ্গে গেছে। এসময়  খালের পানি প্লাবিত হয়ে উপজেলার দক্ষিণ বড়ভিটা, ঘোনপাড়া ও কামারপাড়া গ্রামের অন্তত ৬০ বিঘা জমির বোরো ধান ক্ষেত নষ্ট  হয়ে গেছে। এদিকে নষ্ট হওয়া ধান ক্ষেতের ক্ষতিপুরনসহ ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তির শাস্তির দাবি জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়ন দিয়ে যাওয়া দক্ষিণ বড়ভিটা ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে ভাঙ্গনের ওই ঘটনা ঘটে। নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরির্দশন করে, ভাঙ্গনরত বাঁধটি দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করায় বড় ধরণের ক্ষতি থেকে রক্ষা পান।ওই এলাকার কৃষকরা  জানান, নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী টিএম নূরুল ইসলাম।

স্থানীয়রা জানান, বড়ভিটা গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে মশিউর রহমান অবৈধভাবে বোরিং  করে জমিতে সেচ দিয়ে আসছিল। এরই মধ্যে সেচ খালে পানির অতিরিক্ত চাপ থাকায় বোরিংকৃত অংশ আকষ্মিকভাবে বাঁধটি ৬০ ফিট অংশ ভেঙ্গে যায়। ভাঙ্গনের ফলে খালে থাকা পানি প্লাবিত হয়ে এলকার অন্তত ৬০ বিঘা জমির বোরো ক্ষেত নষ্ট হয়। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ায় বড় ধরণের ক্ষতি থেকে রক্ষা হয়  এলাকার কৃষকদের।

নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী  প্রকৌশলী টিএম নুরুল ইসলাম জানান, বোরিং করে পানি নেওয়ার ফলে বাঁধের ৬০ ফিট অংশ ভেঙ্গে যায়। এতে বাঁধ সংলগ্ন এলাকার কয়েক হেক্টর জমির বোরো ধান ক্ষেতের কিছুটা ক্ষতি হয়। তবে দ্রুত ভাঙ্গন ঠেকানো যাওয়া অনেক বড় ক্ষতি থেকে  কৃষকদের রক্ষা করা গেছে। এরই মধ্যে বালুর বস্তা, পাথর দিয়ে ভাঙ্গা অংশটি রক্ষার জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এদিকে আবারো উঠা নামা শুরু হয়েছে তিস্তা নদীর পানি। নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে ২ হাজার ২১ কিউসেক থেকে তিন হাজার ২৬০ কিউসেক পানি প্রবাহিত হলেও বুধবার দুই হাজার ৯১৩ কিউসেক পানি প্রবাহিত হয়েছে বলে জানান ডালিয়া পানি উন্নয় বোর্ড কর্তৃপক্ষ।