দৈনিক বার্তা : যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী। প্রয়াত এ নেতার মৃত্যুবার্ষিকীতে রোববার দিনব্যাপি বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল আলোচনা সভা, মাজারে পুষ্প অর্পণ, দোয়া ও মোনাজাত। শেরেবাংলার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়েছেন।
এ উপলক্ষে রোববার সকালে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মরহুমের মাজারে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন। একই সঙ্গে তাঁর পবিত্র আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। শেরে বাংলা জাতীয় স্মৃতি সংসদ ও বিশ্ব বাঙালি সম্মেলন রবিবার সকাল সাড়ে ৮টায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। শের-ই-বাংলা পরিষদের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ১০টায় শেরে বাংলার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া ও মোনাজাত।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাঁর বাণীতে বলেছেন, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা আগামী প্রজন্মের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, এ দেশের কৃষক শ্রমিক তথা মেহনতি মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে এ কে ফজলুল হকের অবদান জাতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।
বাংলার কৃষক ও মেহনতি জনতার অকৃত্রিম বন্ধু শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুর হকের ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর (ফজলুল হক) নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আন্দোলনের ফলেই দেশে প্রজাস্বত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। বাঙালি কৃষক সমাজ সামন্তবাদের শোষণ থেকে মুক্ত হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলার গরীব-দুঃখী মানুষের জন্য এ কে ফজলুল হকের অসীম মমত্ববোধ এ দেশের মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে।