পলি কর্মকার: পাথরঘাটায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করে চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন বাদীর পরিবার।
জানাগেছে বর্তমান বছরের পহেলা বৈশাখ পান্তা ইলিশ খাওয়ার জন্য স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসীরা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের খলিফার হাটের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চাদাঁ দাবী করলে ব্যবসায়ীরা স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এর সভাপতি আরিফুর রহমান রাজা মোল্লা সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদেরকে জানালে তারা চাঁদাবাজদের চাঁদা তুলতে নিষেধ সহ তাদেরকে শাসিয়ে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে একই উপজেলার নজরুল ইসলাম,দুলাল হোসেন,জাহাঙ্গীর হোসেন,তারিকুল ইসলাম, ইব্রাহিম হোসেন, শহিদুল ইসলাম,আদ্বুর রাজ্জাক,আলমগীর হোসেন ,উত্তম সহ একটি সন্ত্রাসী দল গত ১৯-৪-১৪ ইং তারিখঃ মাছেরখাল নামক স্থানে বসে রাজা মোল্লা ও তার ভাই মো.কবির হোসেন মোল্লা সহ তাদের আত্মীয় স্বজনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেদম ভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এতে রাজা মোল্লা ও তার ভাই কবির হোসেন মোল্লার অবস্থা আশংকা জনক হলে রাজা মোল্লাকে পাথরঘাটা হাসপাতাল থেকে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও সেখানের ডাক্তারগন রাজা মোল্লাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করেন। এদিকে এঘটনার ওই দিনই রাজার ভাই কবির হোসেন মোল্লা বাদী হয়ে উল্লেখিত আসামীর নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন যারনং-৪৩/১৯২ ওই মামলায় আজ পর্যন্ত আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনী পুলিশ। এদিকে আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা করায় আসামীরা আরও বেপোরোয়া হয়ে বাদীর পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়া সহ প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এঘটনায় গত শনিবার ২৬-৪-০১৪ইং তারিখঃ রাজা মোল্লার স্ত্রী তানিয়া সুলতানা জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তানিয়া লিখিত বক্তাব্যে জানান যে, উল্লেখিত আসামীরা তার স্বামী সহ তার পরিবারের ওপর হামলা চালিয়ে ক্ষান্ত হননী। আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা করার পরে আসামীরা আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠছে। মামলার এজাহার ভুক্ত আসামীদের মধ্যে ৪নং আসামী জাহাঙ্গীর গত ২৫-৪-০১৪ইং তার বসত ঘরে ঢুকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দা দিয়ে তাকে সহ তার শিশু সন্তানকে জবাই করে হত্যা করার হুমকি দিয়ে জাহাঙ্গীর বলে যে তুই এই মুহুর্তে বাড়ী থেকে চলে যাবি,না গেলে তোকে ও তোর সন্তানকে এই মুহুর্তে খুন করে ফেলবো। তানিয়া এব্যপারে ওই দিনই জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে পাথরঘাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন যার নং-১১৪০। তানিয়া বলেন,বর্তমানে আমি আমার ৮মাসের শিশু সন্তানকে নিয়ে আসামীদের ভয়তে পালিয়ে বেড়াচ্ছি প্রশাসনের কাছে কোনো সহযোগীতা পাই না। তানিয়ার অভিযোগ আসামীদের গ্রেফতারের ব্যপারে থানা পুলিশের সাথে বার বার যোগাযোগ করা হলেও থানা পুলিশ বলেন আমাদের হাত পা বাঁধা। তানিয়া বলেন বর্তমানে আমি চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি আসামীরা যে কোনো সময় আমাদেরকে খুন করতে পারে। এব্যপারে পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিএম শাহ নেওয়াজ বলেন, আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।