টিপু সুলতান/দৈনিক বার্তা : গরমের তীব্রতায় বিভিন্ন এলাকার মতো ঝিনাইদহেও ডায়রিয়াসহ গরমজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। এর মধ্যে শিশুদের সংখ্যাই বেশি। হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। জায়গার সংকুলন না হওয়ায় ফিরে যেতে হচ্ছে অনেককে।
রোববার ঝিনাইদহে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। কয়েকদিনের টানা দাবদাহে জেলার সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে এখন রোগীদের উপচে পড়া ভীড়। ডায়রিয়া, কলেরা ও অ্যাজমাসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে বাড়ছে ছোট-বড়সহ নানা বয়সী রোগীর সংখ্যা। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে রোগীর চাপ বেশি থাকায় সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও। রোগীরা অভিযোগ করেছেন, পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা মিলছেনা তাদের। অনেকেই আবার সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। গত দুই দিনে জেলার ৬টি উপজেলার হাসপাতালগুলোতে ৫ শতাধিক শিশু ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। এ ছাড়াও গ্রামে গ্রামে ডায়েরিয়া আক্রান্ত শিশুদের বাড়ি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
একজন রোগী বলেন, এখানে ভর্তি হয়েছি কিন্তু বেড পাইনি। অন্য অনেকের মতো তাই বারান্দায় আছি। এখানে চিকিৎসার তেমন সুব্যবস্থাও নেই। অন্য এক রোগী বলেন, রোগী অনেক বেশি হওয়ায় আমার বাচ্চাটার ঠিকমত চিকিৎসা হচ্ছে না। দায়িত্বরত এক সেবিকা বলেন, বেডের সংখ্যা কম বলে অনেককেই মাটিতে রাখতে হচ্ছে।
এদিকে সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকও জানালেন গরমের সাথে সাথে রোগীর চাপ বাড়ার কথা। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার, ডা. রাশেদ আল মামুন বলেন, গরমের তীব্রতা বাড়ার সাঙ্গে সঙ্গে রোগীর চাপও অনেক বেড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেশী। ডায়রিয়া আক্রান্তদের মধ্যে অধিক পরিমানে আছে শিশু। গরমে শিশু নয়, সবারই উচিত বেশি বেশি পানি পান করা। তার সঙ্গে স্যালাইন খাওয়া। ছোট শিশুদের রোদে বাইরে বের হতে না দেওয়াই ভালো বলে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
অতিরিক্ত গরমে নির্দিষ্ট কিছু ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস বেশি সক্রিয় হওয়ার কারণেই সাধারণত মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যায়। বিশুদ্ধ পানি পান এবং স্বাস্থ্যকর ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে তৈরি খাবার গ্রহণই এ থেকে পরিত্রাণের উপায় বলে মন্তব্য চিকিৎসকদের।