দৈনিক বার্তা : নীলফামারীর ডিমলায় মোটরসাইকেল আটক করায় চার পুলিশ সদস্যকে পেটাল ছাত্রলীগের কর্মীরা।
শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আজ রবিবার ছাত্রলীগের ৩৮ জনসহ অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ২৫জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ডিমলা শহরের কাওসার বাজার মোড়ে শনিবার রাতে পুলিশ বিভিন্ন যানবাহন চেকিংয়ের সময় ছাত্রলীগকর্মী লেবু মিয়ার একটি রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোটরসাইকেলসহ পাঁচটি মোটরসাইকেল আটক করা হয়। এসব যানবাহনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করার সময় লেবু মিয়া মোটরসাইকেল কেন আটক করা হয়েছে তা জানতে চান। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। এক পর্যায়ে তারা পুলিশকে নানা রকম ভয় ও হুমকি দেয় এবং মোটর সাইকেল পাঁচটি ছিনিয়ে নেয়।
এতে পুলিশ সদস্যরা প্রতিবাদ করলে ছাত্রলীগ নেতাকমীরা লাঠিসোটা, দেশি অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে পুলিশের অতিরিক্ত রির্জাভ ফোর্সের নায়েক/৩৪ সচিন্দ্র নাথ, কনস্টেবল/২৬০ মাসুদ পারভেজ, কনস্টেবল/২৫০ জসিমউদ্দিন ও কনস্টেবল/৩৩২ আল আমিন আহত হন।
এসময় ছাত্রলীগের ফেরদৌস পারভেজ ও উত্তম কুমার কনস্টেবল আল আমিনের আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধ্য হয়ে আল-আমিন এক রাউন্ড ফাকা গুলিবর্ষণ করলে তারা পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে ডিমলা শহরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী জানান, ডিমলা থানার এসআই আবু নাসের রায়হান বাদী হয়ে ছাত্রলীগের উপজেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস পারভেজ (৩২), বর্তমান সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার রায় (২৯), ছাত্রলীগকর্মী শাহীন (২৩), তৈবুল ইসলাম হুলু (৩০), হালিমুর ইসলাম হালু (৩৫), আলমগীর কবির (৩৬), লেবু মিয়া (২৪) সহ ৩৮জন নামীয় ও অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। তবে এ পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।