কারাগারে আটক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমানের জামিন ফের নামঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার দুপুর ঢাকা দায়রা জজ জহুরুল হকের আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।
বিএনপির দুই নেতার পক্ষে জামিন শুনানি করেন জয়নাল আবেদিন মেজবা।
এর আগে ২৩ এপ্রিল ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুন অর রশীদ তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
গত ২০ এপ্রিল একই আদালত রামপুরা থানার একটি নাশকতা মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে একই মামলায় দলের অপর স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন দেন।
গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচিতে মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় দক্ষিণখান থানার শিবিরের সভাপতি মানছুর প্রধানীয়া নিহত হন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামিরা গত ৯ মার্চ হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন পান। জামিনের মেয়াদ শেষে হাইকোর্টের নির্দেশে গত ২০ এপ্রিল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠান।
এদিকে পৃথক মামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল এবং ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিবকে ছয় মাসের অন্তরবর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাঁদের পৃথক জামিন আবেদনের শুনানি শেষে আদালত রোববার এ আদেশ দেন।
হাবিবুন নবী খান সোহেল ৯ মামলায় ও হাবিবুর রশিদ হাবিব ৮ মামলায় জামিন পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাঁদের আইনজীবী।
৬ এপ্রিল নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে হাবিব উন নবী খান সোহেলকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর হাবিবুর রশিদ হাবিব গ্রেপ্তার হন।
আদালতে জামিন আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মাসুদ রানা।