দৈনিক বার্তা : ঠিকাদারী কাজের টেন্ডার নিয়ে বিরোধের জেরধরে রবিবার বিকেলে বরিশালের গৌরনদী উপজেলা পরিষদের আ’লীগ দলীয় চেয়ারম্যান ও একই দলের পৌর মেয়রের সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষে উভয়দলের অন্তত ২০জনআহত হয়েছে। এসময় এসময় প্রকৌশল অধিদপ্তর, উপজেলা হিসাব রক্ষন অফিস ও চেয়ারম্যান কার্যালয় ভাঙচুরসহ নেতাকর্মীদের ১৫টি মটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের সময় উপজেলা পরিষদ চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এডিপি ফান্ডের উন্নয়ন মূলক সাত গ্র“পের প্রায় ৫০ লাখ টাকার টেন্ডারের দরপত্র জমা দেয়ার শেষদিন আগামিকাল ২৯ এপ্রিল। গুজ প্রক্রিয়ার (সমঝোতা) মাধ্যমে ওই কাজ বাগিয়ে নেয়ার জন্য রবিবার বিকেল তিনটার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ আলম খান ও ভাইসচেয়ারম্যানের ফরহাদ মুন্সীর নেতৃত্বে তাদের সমর্থকদের নিয়ে চেয়ারম্যান কার্যালয়ে গুজ মিটিং চলছিলো। মিটিং চলাকালীন সময় মেয়রের লোকজনে চেয়ারম্যানের সমর্থকদের ওপর অর্তকিত ভাবে হামলা চালালে উভয়দলের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে চলাকালে ভাইসচেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ফরহাদ, পৌর কাউন্ষির মো. টিটু খান যুবলীগ নেতা রুবেল হাওলাদার, সৈয়দ মনির হোসেন, মো. ইব্রাহিমসহ ১৫টি মটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মাহাবুব আলম, পৌর কাউন্সিলর মো. টিটু খান, যুবলীগ নেতা জাকারিয়া, আবুল হোসেন, মো. বরকত আলী, মো. চিশতী, মনির হোসেন, ইব্রাহিম , রুবেল হাওলাদার, যুবদল কর্মি বিপ্লব হায়দার, মো. রনো, শিমুল, আনোয়ারসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। গুরুতর আহত ৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো. হারিছুর রহমান হারিছ অভিযোগ করেন, গুজ মিটিংয়ে উপজেলা ও পৌর আ’লীগের কোন নেতৃবৃন্দদের ডাকা হয়নি। বরং মিটিংয়ের মধ্যে উপজেলা ও পৌর আ’লীগ এবং তার সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে কটুক্তি করে গালিগালাজ করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে উত্তেজিত নেতাকর্মীরা চেয়ারম্যান কার্যালয়ে গেলে তাদের ওপর চেয়ারম্যানের সমর্থকেরা হামলা চালায়। খবর পেয়ে তিনি (মেয়র) ঘটনাস্থলে পৌঁছে উত্তেজিত নেতাকর্মীদের শান্ত করে নিয়ে আসেন।
হামলা ও কটুক্তির অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান ফরহাদ মুন্সী জানান, মেয়রের নেতৃত্বে তাদের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে দরজা-জানালাসহ অফিসের আসবাবপত্র ও নেতাকর্মীদের ২০টি মটরসাইকেল ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। গৌরনদী থানার ওসি আবুল কালাম জানান, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মাসুদ হাসান পাটোয়ারী ভাঙচুরের কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি আইন শৃংখলা বাহিনীসহ উর্ধবতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।