দৈনিক বার্তা: রানা প্লাজা ধস ও তাজরীন অগ্নিকাণ্ডের মতো মর্মান্তিক দুর্ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে জন্য পদক্ষেপ নেয়াসহ শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির এক বছর পূর্তিতে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর, ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ অফিস, ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এবং যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম মন্ত্রণালয়ের এক যৌথ বিবৃতিতে এ আহবান জানানো হয়। রানা প্লাজা ও তাজরীনের পুনরাবৃত্তি যুক্তরাষ্ট্র দেখতে চায় না বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
রানা প্লাজা ট্রাজেডিকে বড় দুর্যোগ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় বহুতল ভবন রানা প্লাজা ধসে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১ হাজার ১০০ শ্রমিক এবং গুরুতর আহত হয়েছিলেন আরও সহস্রাধিক শ্রমিক। পোশাকশিল্পের ইতিহাসে এটি ছিল সবচেয়ে বড় দুর্যোগ। এর আগে প্রায় শত বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে ট্রায়াঙ্গাল শার্টওয়েস্ট দুর্ঘটনা ঘটেছিল, আর তার শত বছর পরে ঠিক একইভাবে বাংলাদেশের রাজধানী শহরে ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে তাজরীন কারখানায় অগ্নিকান্ড এবং তারপর ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে রানা প্লাজা ধসের মতো দুটি বড় দুর্ঘটনা পর পর ঘটলো।
সরকারের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, গত এক বছরে বাংলাদেশ সরকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জন করেছে। ১৪০টির বেশি শ্রমিক ইউনিয়ন নিবন্ধনের অনুমোদন পেয়েছে। নিবন্ধন বাতিল হওয়া একটি প্রথম সারির শ্রম অধিকার নিয়ে কাজ করা এনজিওকে পুনরায় নিবন্ধনের সুযোগ দিয়েছে। কারখানার নিরাপদ পরিবেশ পরিদর্শনে একটি উচ্চাকাঙক্ষী পরিকল্পনায় সম্মত হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রাথমিক নিরাপত্তা পরিদর্শন সম্পন্ন করেছে এবং শ্রমিক পরিদর্শক নিয়োগ দিতে শুরু করেছে। তবে শ্রমিকদের নিরাপত্তা রক্ষায় আরো কাজ করতে হবে। বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের শ্রম আইন এবং দেশটির বিশেষ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) আইন- উভয় আইনের অধীনেই দেশটির শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণের বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে পরিদর্শক নিয়োগের বিষয়টি অত্যন্ত ধীর গতিতে চলছে এবং বেশ পিছিয়ে আছে।