দৈনিক বার্তা: যশোরের অভয়নগর উপজেলার শংকরপাশায় পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি সাইফুল শিকারী (৩৫) নিহত হয়েছে। সে তার সহযোগীদের ছোড়া গুলিতে মারা গেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। এসময় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত এবং ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি দেশি পাইপগান ও ১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে অভয়গনগর থানার অফিসার ইনচার্জ খবির উদ্দিন জানিয়েছেন।
ওসি জানান, একটি বিষ্ফোরক মামলায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চরমপন্থি সদস্য সাইফুলকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে অস্ত্রের সন্ধান দেয়। রাতে তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে বের হয় পুলিশ। রাত ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে শংকরপাশারবিশ্বাসপাড়া শশ্মানঘাট এলাকায় পৌঁছালে তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এসময় সহযোগীদের ছোড়া গুলিতে নিহত হয় সাইফুল। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা পিছু হটে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশে তৈরি পাইপগান ও ২ রাউন্ড বন্দুকের গুলি উদ্ধার করা হয়। তিনি দাবি করেছেন, সহযোগীদের ছোড়া গুলিতে নিহত হয়েছে সাইফুল। বন্দুক যুদ্ধে পাঁচ পুলিশ সদসস্য আহত হয়েছেন। তারা হচ্ছেন এসআই আরিফুর, এএসআই আহসান হাবিব, এএসআই তৌহিদুল ইসলাম, কনস্টেবল মেহেদি ও মোসাহেদ। তারা গুলির ছররায় আহত হয়েছেন। ঘটনার সময় পুলিশ ২২ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে।
নিহত সাইফুলের বিরুদ্ধে দুইটি হত্যাসহ ডাকাতি ও বিষ্ফোরণের ৮টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর অভয়গরের নওয়াপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলামকে হত্যা করে পাঁচ লাখ টাকা ছিনতাই ও ২০০৮ সালের ৫ মার্চ খলিল শিকারী হত্যা মামলা। সে উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের মোহন শিকারীর ছেলে।