3দৈনিক বার্তা: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানী তিস্তা ব্যারাজ অভিমুখে ঘোষিত লংমার্চ কর্মসূচি সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। উত্তরাঞ্চলের জেলা গুলোতে ব্যাপক প্রস্তুতি ও প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন দলের নেতাকর্মীরা। বিএনপি’র পাশাপাশি জামায়াতসহ ১৯ দলীয় জোটের দলগুলোও লংমার্চে যোগ দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এই লংমার্চে যাচ্ছেন না।

তিস্তাসহ সকল অভিন্ন নদ-নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা ও তিস্তার বাম তীরে বাধেঁর দাবীতে বুধবার দুপুরে তিস্তা ব্যারেজ সংলগ্ন হেলিপ্যাড মাঠে লংমার্চ শেষে বিএনপি’র জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেবেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। উপস্থিত থাকবেন, বিএনপি’র স্থায়ী কমিটি’র সদস্যসহ ১৯ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ। ওই জনসভায় সভাপতিত্বে করবেন, লালমনিরহাট জেলা বিএনপি’র সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু।

সমাবেশ উপলক্ষে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার  দোয়ানী তিস্তা ব্যারাজ সংলগ্ন হেলিপ্যাড মাঠে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। রাস্তায় রাস্তায় ডিজিটাল ব্যানার, ফিষ্টন,  পোষ্টার দিয়ে  ছেয়ে  গেছে ব্যারাজ এলাকায়। হাতীবান্ধা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মোশারফ হোসেন জানান, ইতিমধ্যে আমাদের সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। ওই জনসভায় ৩ ললমঘাধিক লোকের সমাবেশ ঘটবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
2
তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা ও তিস্তার বাম তীরে বাঁেধর দাবিতে জনমত গঠন, ভারতীয় জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি’তে সরকারের ব্যর্থতার প্রতিবাদে লংমার্চ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে বলে বিএনপি  পনতারা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকা  পথকে এই লংমার্চ কর্মসূচি শুরু হয়ে বুধবার লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানী হ্যালিপ্যাড মাঠে গিয়ে  পশষ হবে। এই কর্মসূচিকে ইতোমধ্যে সমর্থন জানিয়েছে ১৯ দলীয় জোটের শরিক দলগুলো।

বিএনপি’র রংপুর বিভাগীয় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপ-মন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু জানান, দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে মঙ্গলবার সকালে  বিএনপি’র    কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লংমার্চ শুরু হবে। রাজধানীর উত্তরা, গাজীপুরের টঙ্গী, কোনাবাড়ী হয়ে কালিয়াকৈরে প্রথম পথসভা। এরপর টাঙ্গাইল বাইপাস মোড়ে পথসভা শেষে যমুনা সেতু পার হয়ে সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড়েও পথসভা করা হবে। পরে বগুড়ার বিভিন্ন স্থানে পথসভা  শেষ করে রংপুরের উদ্দেশে রওনা হবে লংমার্চ। সেখানে রাতযাপন করে বুধবার সকাল ৯টায় রংপুরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বেলা ১১টায়  তিস্তা ব্যারাজে সমাবেশের মাধ্যমে লংমার্চ কর্মসূচি  শেষ হবে বলে জানান বিএনপির এই  সাংগঠনিক সম্পাদক।

দুলু জানান, এই লংমার্চ কর্মসূচিতে মূলত উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলা ছাড়াও গাজীপুর ও টাঙ্গাইল জেলাকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় নেতারা ও সারাদেশের জেলা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা যার যার মতো করে লংমার্চে অংশগ্রহণ করবেন। লংমার্চে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৯ দলীয় জোটও আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন দিয়েছে বলে জানান তিনি।

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম বিএনপি’র নেতা ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান জানান, এই লংমার্চ কর্মসূচিকে সফল করতে রংপুর বিভাগসহ পুরো উত্তরাঞ্চলের নেতা-কর্মীরা রাতদিন পরিশ্রম করে চলছে। লংমার্চ শেষে লালমনিরহাটে সমাবেশে তাদের তিন লক্ষাধিক লোকের জমায়েত ঘটানোর টার্গেট রয়েছে। সরকার তাদের এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা না দিলে বিএনপির এ টার্গেট পূরণ হবে বলে মনে করেন এ বিএনপি নেতা।