1দৈনিক বার্তা: লংমার্চের নামে রংপুরে গিয়ে পিকনিক করে আসেন, আমাদের সমস্যা  নেই। কিন্তু আন্দোলনের নামে  কোনো  নৈরাজ্য করলে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা কঠোর হাতে মোকাবেলা করবে।এ সময় তিনি বিএনপির  নেতাদের জাতীয় বেঈমান ও ভাওতাবাজ বলে সম্বোধন করেন। যারা লংমার্চে বাধা  দেবে, তারা জাতীয়  বেঈমান বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের এই বক্তব্য উল্লেখ করে তিনি এই কথা বলেন।

সোমবার রাজধানীর বীরউত্তম খাজা নিজামুদ্দিন মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি  দেন। বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

তিস্তা অভিমুখে বিএনপির লংমার্চে অংশগ্রহণে দেশবাসীকে সাবধান ও সতর্ক করে  দেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।তিনি  বলেন, নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করলে আমরা বাধা  দেবো না। তবে যারা ক্ষমতায় থেকে তিস্তা নিয়ে কোনো কথা বলে না, ক্ষমতার বাইরে  থেকে এটাকে আন্দোলনের ইস্যু করে, তারা জাতীয়  বেঈমান তো বটেই, জাতীয় ভাওতাবাজও।

খালেদা জিয়া, বিএনপি-জামায়াত জোট এখন রাক্ষস ও হিংস্র হায়েনার রূপ ধারণ করেছে বলেও মন্তব্য করেন ড. হাছান মাহমুদ।

সরকার দানবীয় রূপ ধারণ করেছে- খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, তারা  তো কিরূপ রাক্ষসী ও ধ্বংসাত্মক রূপ নিতে পারে তা জাতি  দেখেছে।  পেট্রোল  বোমা দিয়ে মানুষ মেরেছে, মানুষকে ঘর  থেকে বের হতে  দেয়নি। তারা আবার বলছে যে, সরকার নাকি দানবীয় রূপ ধারণ করেছে। সরকার নয়- তারাই রাক্ষস ও হিংস্র হায়েনার রূপ ধারণ করেছে।

লংমার্চে যারা বাধা দেবে তারা হবে জাতীয়  বেঈমান’-রুহুল কবীর রিজভীর এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের এ  নেতা বলেন, যারা ক্ষমতায় থেকে তিস্তার কথা ভুলে যান- তার  তো জাতীয় ভাওতাবাজ। তারা আজ তিস্তা নিয়ে অনেক কথা বলছেন, অথচ তারা ক্ষমতায় থাকতে তিস্তা প্রসঙ্গে তো একটা কথাও বলতে শুনিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, আজ স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করা হচ্ছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়  যে পাকিস্তানি ব্যাটম্যানদের কোলে পিঠে মানুষ  সেই তারেক রহমান, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়  যে খালেদা জিয়া নয় মাস পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আতিথেয়তায় ছিল তারা স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করবে এটাই স্বাভাবিক।

আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক হাছিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও ছিলেন- ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা জিএম আতিক, কৃষকলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক  রেজাউল করিম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের সভাপতি হুমায়ুন কবির প্রমুখ।