দৈনিক বার্তা: বাংলাদেশে যেকোন বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সম্ভব সব ধরণের নীতি সহায়তা প্রদানে আশ্বাস দিচ্ছি। আমরা বাংলাদেশে নিজস্ব ব্র্যান্ডের যানবাহন উৎপাদনের স্বপ্ন পূরণ করতে চাই। এই অভিযাত্রা সফল করতে যে সব শিল্প উদ্যোক্তা বিনিয়োগে এগিয়ে আসবেন তাদেরকে সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়া হবে।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর রুপসী বাংলা হোটেলে নিটল-নিলয় গ্র“পের সঙ্গে ভারতীয় অটোমোবাইল কোম্পানি হিরো মটোকর্প’র যৌথ বিনিয়োগ চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।শিল্পমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আত্মীক সম্পর্ক রয়েছে। এ সর্ম্পককে আরো জোরদার করতে চাই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ঐতিহাসিক সুসম্পর্ক বিদ্যমান। স্বাধীনতার পর থেকেই পারস্পরিক সুফল ও উন্নয়নের লক্ষে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে আন্তর্জাতিক সহায়তা ও সমর্থন যোগানোর জন্য আমরা ভারতীয় জনগণ ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ।তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সুরক্ষা ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নের অভিন্ন লক্ষে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালনের মধ্য দিয়ে দু’দেশের মধ্যে বিরাজমান সম্পর্ক ক্রমশ জোরদার হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা ভারত থেকে আমদানি করি বেশি, রফতানি করি কম। তাই আগামীতে ভারতে আর কোন কোন পণ্য রফতানি করতে পারি তার আলোচনা করতে হবে।শিল্পমন্ত্রী বলেন, শুধু ভারতের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্কই নয়, আত্মীক, সামাজিক ও ব্যবসায়ীক সব ক্ষেত্রে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে হবে।
আমির হোসেন আমু বলেন, অন্য দেশের তুলনায় ভারতের সঙ্গে আমাদের বিনিয়োগে ভারসাম্য রয়েছে। তাই বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য সব চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে আজকের এই যৌথবিনিয়োগ চুক্তি, এ এক অনন্য দৃষ্টান্ত। ভারতীয় অটোমোবাইল উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান নিটল-নিলয় গ্র“প বিশ্বমানের প্রযুক্তি নিয়ে বাংলাদেশে যানবাহন উৎপাদনকারী প্লান্ট স্থাপনে এগিয়ে আসায় আমি খুবই আনন্দিত।
আমু বলেন, এই যৌথ বিনিয়োগ চুক্তির আওতায় ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ হবে জেনে খুশি হয়েছি। এটি দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের যানবাহন উৎপাদন শিল্পে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির প্রসার ঘটাবে।
তিনি বলেন, এই উদ্যোগে দেশের আর্থ সামজিক উন্নয়নে এবং স্থানীয় অটোমোবাইল খাতে পশ্চাৎ-সংযোগ শিল্পের উন্নয়ন ও সরবরাহ চেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। এর ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
প্রাথমিকভাবে এই প্রতিষ্ঠান ৫০টি বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে ১১ ধরণের জনপ্রিয় হিরোমোটর সাইকেল ও স্কুটার বাজারজাত করা হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আমরা চাই দেশের জনগণ মেড ইন বাংলাদেশ’ লেখা যানবাহন ব্যবহার করুক। দেশীয় উৎপাদন থেকে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে শিল্প সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্বপ্ন বাস্তবে রুপায়িত হউক।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় অ্যাকটিং হাইকমিশনার সঞ্জয় চত্রুবর্তী, হিরো মোটর করপোরশনের সিইও মি. পবন মুনজাল, নিটল-নিলয় গ্র“পের প্রধান নির্বাহী মাতলুব আহমেদ।