1দৈনিক বার্তা:  ফতুল্লার শাসনগাঁও বিসিক শিল্প নগরীতে রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা ‘ফকির অ্যাপারেলস’-এ ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসময় আগুন-নেভাতে গিয়ে ও ধোঁয়ায় অন্তত অর্ধশত শ্রমিক আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে কিছু সংখ্যক শ্রমিক নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এদের অনেকেরই শরীরের বিভিন্ন স্থান পুড়ে গেছে। এতে কারখানাটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও তাৎক্ষণিক পরিমাণ জানা যায়নি। অগ্নিকান্ডের পরপরই কারখানাটির সকল বিভাগ ছুটি দিয়ে শ্রমিকদের বের করে দেয়া হয়।
শ্রমিকরা জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে বিসিক শিল্প নগরীর ২ নং গলিতে অবস্থিত ফকির অ্যাপারেলস-এর ডাইং সেকশনে কাপড় শুকানোর ডায়ার মেশিন থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন মুহূর্তের মধ্যেই আশপাশে ও উপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় পুরো কারখানাটি দোয়ায় অন্ধকার হয়ে যায়। তখন বের হতে গিয়ে ও ধোঁয়ায় অন্তত অর্ধশত পুরুষ শ্রমিক আহত হয়েছে। এদের মধ্যে সফিকুল, এবায়দুল ও মোস্তফা নামে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শ্রমিকরা জানান, ডাইং সেকশনের উপরের তলায় প্রিন্টিং ও নিচ তলায় নিটিং সেকশন রয়েছে। এতে তিনটি সেকশনে মোট দেড় হাজারের মতো শ্রমিক কাজ করে। তিনটি সেকশনেই বিপুল পরিমাণের কাপড় মজুদ ছিল। আগুনে কাপড় ও মেশিন পুড়ে গেছে।


নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার নিয়াজ আহমেদ জানান, ৪টি ইউনিট সকাল ১০টা থেকে প্রায় ১ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সকাল ১১টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ চলছে। ঘটনার পর পরেই স্থানীয় সাংবাদিকরা ওই কারখানায় প্রবেশের চেষ্টা করলেও কারখানার সিকিউরিটিগার্ডরা ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়নি। যার ফলে মালিক পক্ষের কারো বক্তব্য সরাসরি পাওয়া যায়নি।
তবে মালিকের বরাত দিয়ে গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ পরিচালক জিএম ফারুক জানান, আগুন প্রচুর টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেটা তাৎক্ষণিক নিরূপণ করা যায়নি।
নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুল মান্নান জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাসুম আল মামুন, জুয়েল, মিলন মৃধা, সফিকুল, এবায়দুল, আব্দুর রহমান, মোস্তাক, শামীম, কবীর হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, মাহফুজুর রহমান, রায়হান, মোর্শেদ, ওয়ায়দুল, আবু তালেব নামে প্রায় ১৫জন শ্রমিক আহত অবস্থায় আসে। এদের মধ্যে অনেকের শরীরের বিভিন্ন স্থান আগুনে পুড়ে গেছে আবার অনেকে ধোঁয়ায় শ্বাস নিতে পারছেনা। এদের প্রত্যেককেই পৃথকভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। যাদের শ্বাস কষ্টের সমস্যা বেশি তাদের অক্সিজেন দেয়া হয়েছে।