দৈনিক বার্তা: নাটোরে জামায়াতের মিছিলে পুলিশের গুলি ও টিয়ারশেলে ছাত্রশিবিরের এক সাবেক নেতাসহ জামায়াত-শিবিরের ২৫ নেতাকর্মী গুলি ও টিয়ারশেলে আহত হয়েছে। এ সময় ছয় পুলিশ সদস্যও ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হন। চোখ ও মাথায় ৬টি গুলিবিদ্ধ নাটোর নবাব সিরাজ উদ-দৌলা সরকারি কলেজের সাবেক জিএস সাবেক ছাত্রশিবির নেতা শামসুল ইসলাম কল্লোকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সময় জামায়াত ও শিবিরের চার নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শহরের হরিশপুর বাইপাস মোড় থেকে নিজামী ও সাঈদীসহ আটক জামায়াত নেতাদের মুক্তির দাবিতে মিছিল বের করে নাটোর শহর জামায়াত। জেলা আমীর অধ্যাপক মোঃ ইউনুস আলী, সেক্রেটারী অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন খান ও নাটোর শহর আমীর আতিকুল ইসলাম রাসেলের নেতৃত্বে মিছিলটি চকরামপুরের দিকে গেলে একতার মোড়ে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় জামায়াত নেতারা মিছিলটি নিয়ে আবার হরিশপুরে ফিরে যাওয়ার সময় মিছিলের পিছনে পুলিশ ও জামায়াত কর্মীদের মধ্যে সংর্ঘষ শুরু হয়। এতে পুলিশের গুলিতে নাটোর নবাব সিরাজ উদ-দৌলা সরকারি কলেজের সাবেক জিএস সাবেক ছাত্রশিবির নেতা শামসুল ইসলাম কলে¬াল (৪৪) ও জামায়াত কর্মী শাহাবুদ্দিন (৬২) গুরুতর ভাবে গুলিবিদ্ধ হন। অন্য আরো ১৮ জন রাবার বুলেট ও টিয়ারশেলে আহত হন।
অপরদিকে জামায়াত কর্মীদের ইটের আঘাতে নাটোর থানার ওসি আসলাম উদ্দিন ও এস আই নুরুজ্জামানসহ ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়। আশংকাজনক অবস্থায় সাবেক শিবির নেতা কলে¬ালকে প্রথমে নাটোর মিশন হাসপাতালে নেয়া হলে তার অবস্থার দ্রুত অবনতি হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সময় জামায়াত ও শিবিরের তিন নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ঘটনার সময় পুলিশ এলোপাথারী আশেপাশের বাড়ি ও স্কুলে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে নাটোর শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় ও মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অর্ধশত শিক্ষার্থী অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এদের মধ্যে সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র মোহাম্মদ নূর ও মাহিদ শেখ এবং নবম শ্রেণীর ছাত্র আকাশ বেশী অসুস্থ্য হওয়ায় চিকিৎসকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
নাটোর থানার ওসি আসলাম উদ্দিন মিছিলে ১৪ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৯টি টিয়ারশেল নিক্ষেপের কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনার সময় জামায়াত ও শিবিরের আবু তালেব, আলী, আলিফ ও ওমর আলী নামে চার নেতাকর্মীকে আটক করা হয় বলেও তিনি জানান। এদিকে হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন, নাটোর জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মোঃ ইউনুস আলী ও সেক্রেটারী অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন খান।