1দৈনিক বার্তা:  আওয়ামী লীগে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নেই।কিন্তু তারেক রহমান ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের শূন্যতা পূরণ করেছে। তাই তারেকের নাম শুনলে আওয়ামী লীগের  গায়ে আগুন ধরে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।তিনি বলেন, বলেন, অনেক হয়েছে। আমরা আর সহ্য করতে চাই না। তারেক রহমানকে  দেশে ফিরিয়ে আনতে হলে রাজপথে আন্দোলনের বিকল্প নাই। তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমেই তাকে বীরের  বেশে  দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। আমাদেরকে ভুয়া  স্লোগান নয়, রাজপথে আন্দোলন করতে হবে।

সোমবার জাতীয়  প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বিএনপির সিনিয়র ভাইস  চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এ সমাবেশ আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল।তস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে ২২ এপ্রিল  থেকে তিস্তা অভিমুখে বিএনপির লংমার্চে বাধা দিলে সমূচিত জবারের হুঁশিয়ারি  দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

আব্বাস বলেন, তিস্তা অভিমুখে আমাদের যাত্রা কাল (মঙ্গলবার)। এ যাত্রায়  কোনো বাধা আসবে না। এ যাত্রা শান্তিপূর্ণ, এখানে আওয়ামী লীগও অংশ নেবে। বাধা দিতে এলে সমূচিত জবাব  দেওয়া হবে।তিনি বলেন, পানি আওয়ামী লীগের লাগে না? তাদেরও  তো পানি দরকার। পানি শুধু বিএনপি খায় না, আওয়ামী লীগও খায়। তাই নিজেদের স্বার্থে তারাও এতে অংশ নেবে।তারেক রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর  ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের তুলনাও করেন তিনি।

আব্বাস বলেন, আমাদের  নেতৃত্বের অভাব হবে না। তারেক রহমানের মতো  নেতা আওয়ামী লীগে  নেই। একজন ভাগ্নে (জয়) আছে, কিন্তু তিনি কখনোই তারেকের মতো  নেতা হতে পারবেন না।  সেই ভাগ্নে এদেশের  মেয়েকে বিয়ে করতে চান না,  দেশের  মেয়েদের তিনি পছন্দ করেন না। এদেশের  মেয়েরা তাই জয়কে কখনোই  ভোট  দেবে না। তিস্তা অভিমুখে বিএনপির লং মার্চে আ.লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবি কেবল বিএনপির নয়, এটা সমগ্র দেশের জনগণের অধিকার আদায়ের দাবি।

মির্জা আব্বাস বলেন, আশা করি আ.লীগ বাধা না দিয়ে লং মার্চকে সফল করতে সহযোগিতা করবে। বাধা দিলে তার সমুচিত জবাব দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।তিনি বলেন, এ সরকার রাক্ষসী ও দানব সরকার। এদের হাত  থেকে বাঁচাতে হবে,  দেশকে মুক্ত করতে হবে। তারেক রহমানকে  দেশে ফিরিয়ে আনতে  নেতাকর্মীদের তীব্র গণআন্দোলন গড়ে  তোলার আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপি জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে উপজেলা নির্বাচনের মতোই পরিণতি হতো বলেও মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, তারেক রহমান লন্ডনে বসে অন্যকিছু করছেন না; বরং তিনি  দেশের ইতিহাস নিয়ে অধ্যয়ন করছেন। তিনি পড়াশোনা করে বইপত্র  কোট করে তারপর কথা বলেছেন। নিজে  থেকে কিছু বলেন নাই। তারেক রহমান ইতিহাসের দলিল দিয়ে কথা বলছেন বলেই আ’লীগের আতে ঘাঁ লেগেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, আজকে  দেশে বাকস্বাধীনতা নাই, আমরা ঘরে বাইরে  কোথাও কথা বলতে পারি না, বক্তব্য রাখতে পারি না।  গ্রেফতার নির্যাতন চালিয়ে পুরো  দেশটাকেই একটা কারাগারে পরিণত করেছে। এ সরকার দানব সরকার, ইন্ডিয়ার তাবেদারি করে  দেশের সবকিছুই বিকিয়ে দেয়া হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার  ঘোষণা দিয়েছেন। এটা ঐতিহাসিক প্রমাণিত সত্য। বিএনপিই প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধের দল, আ’লীগ নয়। শুধুমাত্র বর্ডার দিয়ে পালালেই মুক্তিযোদ্ধা হওয়া যায় না।

তিস্তা অভিমুখে লংমার্চ বিষয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, পানির অভাবে আমাদের জীবন-জীবিকা আজ বিপর্যস্ত। ভারত চতুর্দিকে বাঁধ দিয়েছে আমাদের। আর এজন্য মঙ্গলবার লংমার্চ করা হবে। শোনা যাচ্ছে,  সেখানেও নাকি বাধা দেয়া হবে। আমাদের এই কর্মসূচি হচ্ছে-  দেশ ও জনগণের স্বার্থে। তাই আমরা আশা করছি, আওয়ামী লীগ এতে বাধা না দিয়ে সহযোগিতা করবে।

বিএনপির সিনিয়র ভাইস  চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমালোচনায় খুশি হন যুবদল সভাপতি  সৈয়দ  মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। নিজেই একথা জানিয়েছেন।আলাল বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ  নেতাদের নানা সমালোচনায় অনেকেই আহত হন, ক্ষুব্ধ হন। আমি কিন্তু অনেক খুশি হই।তারেক রহমানকে তিনি ফলবান বৃক্ষ র সঙ্গেও তুলনা করেন।

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রে’র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল।আলাল নিজের বক্তব্য ব্যাখ্যা করে বলেন,  যে বৃক্ষে ফল হয়,  সেই বৃক্ষেই মানুষ ঢিল ছোড়ে। ফলহীন বৃক্ষের প্রতি কারও  কোনো আগ্রহ থাকে না। তারেক রহমান ফলবান বৃক্ষ। তাই তাকে এতো গুরুত্ব দিয়ে সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সরকারের প্রধানমন্ত্রী  থেকে শুরু করে অন্য মন্ত্রী-এমপিরা।

তিনি বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সমালোচনা বা ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ নেই। এদেশের মানুষ সত্য জানে।তারা বিএনপির সঙ্গে রয়েছে।

আলালের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন  স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বজলুল করিম  চৌধুরী আবেদ, যুবদলের সহ-সভাপতি আবদুল খালেক,  মো. ফারুক  হোসেন, প্রচার সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।