দৈনিক বার্তা: গৃহবধূর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথাবার্তায় ভাব জমিয়ে এবং রাতের অন্ধকারে অসৎ উদ্দেশ্যে দেখা করতে গিয়ে ধরা খেয়েছে আছমত আলী নামের এক প্রধান শিক্ষক। ধরা খাওয়ার পর উত্সুক গ্রামবাসী উত্তমমধ্যমও দেয় ওই প্রধান শিক্ষককে। শেষে ক্ষমতাসীন দলের তদবির আর টাকা পয়সা দিয়ে ছাড়া পেয়ে বাড়ি চলে যান ওই শিক্ষক। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। শনিবার দিবাগত মধ্যরাতের পর ওই ঘটনাটি ঘটেছে রৌমারী উপজেলার বাউসমারী গ্রামে।
আছমত আলী (৪৫) নামের ওই লম্পট শিক্ষক রাজীবপুর উপজেলার কোদালকাটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। পাশাপাশি তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মী বলে জানান কোদালকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ছক্কু। পারিবারিক ভাবে তার স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে।
রৌমারী বাউসমারী গ্রামের মাহবুব রহমান নামের এক যুবক জানান, ওই শিক্ষক বাউসমারী গ্রামের এক গৃহবধুর সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমভালোবাসা গড়ে তোলে। এরই এক পর্যায়ে ওই দিন দিবাগত রাতে গৃহবধূর সঙ্গে দেখা করতে ঘরে ঢুকলে বাড়ির লোকজন তাকে আটক করে। এসময় গ্রামবাসী উত্তেজিত হয় মারধোর করে অভিযুক্তকে।
ওই গৃহবধূর স্বামী হাসানুল হক জানান, ওই শিক্ষক দীর্ঘদিন থেকে মোবাইল ফোনে উত্যক্ত করে আসছে তার স্ত্রীকে। অসামাজিক কর্মকাণ্ডের প্রস্তাব দেয় ওই শিক্ষক। অসংখ্যবার ওই প্রস্তাব এবং উত্যক্তের বিষয়টি মোবাইল ফোনে রেকর্টিং করা আছে। তার স্ত্রীকে উত্যক্ত না করার জন্য অনেকবার তাকে নিষেধ করার পরও সে মানেনি। ঘটনার দিন গৃহবধুর মোবাইল ফোনে কল করলে আছমত আলীকে রাতের বেলায় আসতে বলা হয়। গৃহবধুর কথামতো আছমত আলী বাউসমারী গ্রামের বাড়িতে উপস্থিত হলে তাকে আটক করা হয়। সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিনু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘বখাটেপনার শাস্তি দিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আছমত আলী বলেন, ‘আমাকে ডেকে নিয়ে চক্রান্ত করে ওই ঘটনা সাজানো হয়েছে। এটা পরিকল্পিতভাবে আমার সুনাম নষ্ট করার উদ্দেশ্য ছিল তাদের। আমি নির্দোষ।’