1দৈনিক বার্তা: সেইন্ট মার্টিনের ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে পর্যটকদের গোসল নিষিদ্ধ করেছে বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় ব্যবসায়ী, গণ্যমান্য ব্যক্তি, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পাশাপাশি সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন্ দ্বীপে বিচ কর্মী নিয়োগ ও সৈকতে গোসল সংক্রান্ত নিদের্শনা রাখার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি।

এ ছাড়া পর্যটকদের সর্তকর্তার জন্য লিফলেট বিতরণ, সেন্টমার্টিন্ দ্বীপের সৈকতের কোথাও অনিরাপদ স্থান আছে কিনা তা চিহ্নিত না হওয়া পর্যন্ত গোসলে নামা বন্ধ করার সিদ্ধান্তও হয়েছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় সেন্টমার্টিন্ দ্বীপে বেড়াতে গিয়ে ঢাকার আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীর প্রাণহানি ও দু’জন নিখোঁজ হওয়ার কারণ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। একই সঙ্গে সৈকতে গোসল ও পর্যটকদের অন্যান্য নিরাপত্তা প্রদান নিয়ে আলোচনা হয়।

সভায় জানানো হয়, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের গোসলের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য বিচ কর্মী ও লাইফ গার্ড কর্মী সার্বক্ষিণ দায়িত্ব পালন করে থাকেন। একইভাবে সার্বক্ষিণ দায়িত্ব পালনের জন্য সেন্টমার্টিন্সেও বিচ কর্মী ও লাইফ গার্ড কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। দ্রুত কর্মী নিয়োগ করে তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সেন্টমার্টিন্সে পাঠানো হবে বলেও সভায় জানানো হয়।

সভায় বক্তব্য রাখেন- বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব পর্যটন মোটেল শৈবালের ম্যানেজার নুরুল ইসলাম, সদস্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবুল হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তফিজুর রহমান, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তসলিম উদ্দিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিকুর রহমান, কক্সবাজার পৌরসভার সচিব সামশুদ্দিন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোফাজুল হাসান, জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী আব্বাস উদ্দিন আহমদ, কক্সবাজার পর্যটন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল মোস্তফা প্রমুখ।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সেন্টমার্টিন্সে বেড়াতে গিয়ে আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব পাশের সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে নামেন। এসময় তাদের মধ্যে ৯ জন গভীর পানি ও স্রোতের মধ্যে পড়ে যান। দ্রুত তাদের মধ্যে ৫ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকি চারজন নিখোঁজ থাকেন। টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মানফেজুল ইসলাম ও সাদ্দাম হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনার তৃতীয় দিন বুধবার সকালে উদ্ধার করা হয় শাহারিয়ার ইসলাম নোমান ও গোলাম রহিম বাপ্পির মৃতদেহ। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন সাব্বির হাসান ও ইতশিয়াক বিন মাহমুদ উদয়। তাদের সন্ধানে উদ্ধার কাজ চলছে।