দৈনিক বার্তা: আবু বকর সিদ্দিককে অপহরণকারীরাই নিখোঁজ ইলিয়াস আলী গুমের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেছে বিএনপি।
দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘দুটি ঘটনারই ধরন একইরকম। এই দুরভীসন্ধিমূলক পরিকল্পনার অভিমূখ শুধু বিরোধী দল নয়, বরং নাগরিক স্বাধীনতার দিকে।’
শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেন, ‘ইলিয়াস আলীকে গুম করার উদ্দেশ ছিলো বিএনপিকে নিবৃত্ত করার জন্য হুঁশিয়ারি ম্যাসেজ। আর যারা স্বাধীন চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বপক্ষে সোচ্চার রয়েছেন তাদেরকে সতর্কবার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে এবি সিদ্দিককে অপহরণ করা হয়েছিলো।’
তিনি বলেন, ‘এবি সিদ্দিককে অপহরণের সঙ্গে কারা জড়িত সরকার কখনই এর জবাব দেবে না। কারণ ক্ষমতাসীনরা জনগণের কাছে জবাবদিহিতা অসম্মানজনক মনে করে। যেমন প্রধানমন্ত্রী ওয়াদা করার পরও ইলিয়াস আলীর গুমের সন্ধান দিতে পারেনি।’
বাংলাদেশকে একটি আশ্রিত রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করা হচ্ছে-অভিযোগ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘জাতীয় স্বার্বভৌমত্বকে লঙ্ঘন করে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এদেশ থেকে লোক ধরে নিয়ে যায়। ভিন দেশের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই হোক বা অন্য সংস্থার লোক হোক তাদের গ্রেফতার ও শাস্তির জন্য দেশে প্রচলিত আইন আছে। কিন্তু ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এসব বিষয় তোয়াক্কা করছে না।’
রিজভী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘২০১০ সালে শেখ হাসিনার দিল্লী সফরের সময়ে ৫০ দফা যৌথ ঘোষণাপত্র সইয়ের মাধ্যমে মূলত: দেশের জাতীয় স্বার্থ ভারতের কাছে বিকিয়ে দেওয়ারই কোনো নমুনা কী-না তা নিয়ে জনমনে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।’
২২ মার্চ তিস্তা অভিমুখে লংমার্চকে কেন্দ্র করে উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে জানিয়ে দেশের জনগণকে এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান রিজভী আহমেদ।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘লংমার্চ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি হবে। এটি জাতীয় কর্মসূচি। সরকার এতে কোনো প্রকার বাঁধা দিলে জনগণই এর বিচার করবে।’
সংবাদ সম্মেলনে সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন, নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক শিকদার, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।