দৈনিক বার্তা: বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামী আবু বকর সিদ্দিক এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ভেবেছিলাম পরিবারের কাছে জীবিত আর ফিরে আসতে পারবো না। পরিবারের কাছে আবার ফিরে এসে আমি খুব আনন্দিত।
শুক্রবার পৌনে ৩টায় নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদনী রুমের আদালতে জবানবন্দি দেন আবু বকর সিদ্দিক। এরপর জবানবন্দি দেওয়ার পর আবু বকর তার প্রতিষ্ঠান ফতুল্লার দাপা এলাকায় হামিদ ফ্যাশনে যান। এরপর ঢাকায় রওনা দেন।
এর আগে বেলা ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, পুলিশের অব্যাহত তৎপরতা ও মিডিয়ার ফলাও প্রচারের কারণে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামী আবু বকর সিদ্দিকের অপহরণকারীরা তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি।
সকাল সাড়ে ১০টায় আবু বকর সিদ্দিককে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে জবানবন্দি দিতে বেলা সাড়ে ১২টায় নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদনী রুমের আদালতে নেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার পর থেকে আমরা নারায়ণগঞ্জ এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ডিবি এবং র্যাব একসঙ্গে কাজ করেছি। আমরা কয়েকটি সূত্র ধরে তদন্ত চালিয়ে গেছি। তবে ঠিক কী কারণে তাকে অপরহরণ করা হয়েছিল সে ব্যাপারটি ধোঁয়াশায় রয়ে গেছে। এখানে অনেক প্রশ্ন রয়ে গেছে। ভিকটিম উদ্ধার হলেও অপহরণের যে অপরাধ তা রয়ে গেছে। তবে অপরাধীদের গ্রেপ্তারে আমাদের তদন্ত অব্যাহত থাকবে।”
পুলিশ সুপার আরও বলেন, “আমরা কয়েকটি সূত্র ধরে তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলাম। যখন অপহরণের কাজে ব্যবহার হওয়া গাড়ির নম্বর ভুয়া জানা গেল, তখন আমরা ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী নীল রঙের সব মাইক্রোবাসের ডাটা বিআরটিএ থেকে সংগ্রহ করি। যেসব নীল রঙের মাইক্রোবাসের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয়েছে সেই গাড়ির ওপর নজর রাখা হয়েছে। আমরা খুলনাতে নীল রঙের একটি মাইক্রোবাস আটক করে রেখেছি। অপহরণের সময় ব্যবহৃত গাড়ির নম্বরের তার সঙ্গে এ গাড়ির নম্বরের অনেকটা মিল রয়েছে।”
আবু বকর সিদ্দিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ডাক্তার ফরহাদ জানান, আবু বকরের স্বাস্থ্যের অবস্থা ভালো আছে। শুধু তার রক্তচাপ বেশি। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ দেওয়া হয়েছে। তার নাকে এবং দুই হাতে দাগ রয়েছে। তার চোখ এবং দুই হাত শক্ত করে বেঁধে রাখার কারণেই এ দাগ পড়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।