এই প্রকল্প উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগের চারটি জেলায় পূর্নাঙ্গরুপে কার্যক্রম শুরু করে গত বছরের জুলাই মাসে। এই প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হচ্ছে উত্তর অঞ্চলের চার জেলায় ১৬০টি ফার্ম বিজনেস গ্রুপ (এফবিজি) এর ৪০,০০০ হাজার ক্ষুদ্র চাষী ও ৩২০ জন ফার্ম বিজনেস এ্যাডভাইজার (এফবিএ) গণের জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্নভাবে উৎপাদিত পন্যের সঠিক মূল্য নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহন করা। প্রকল্পের লক্ষ্য উদ্দেশ্যকে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করতে গিয়ে প্রুফস রংপুর টিম কৃষকদের উৎপাদিত আলু বাজারজাত করার চিন্তা ভাবনা করে। আলু সঠিক দামে বিক্রির জন্য বিভিন্ন ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় হারবিনজার ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি রপ্তানীমুখী কোম্পানীর সাথে আলু রপ্তানীর ব্যাপারে প্রুফস রংপুর টিমের সহযোগীতায় ফার্ম বিজনেস এ্যাডভাইজার (এফবিএ) গণ চুক্তি সম্পাদন করে।
চুক্তি সম্পাদন হওয়ার পর প্রকল্পের আওতাধীন ফার্ম বিজনেস গ্রুপ (এফবিজি) এর প্রুফস কর্তৃক নির্বাচিত ফার্ম বিজনেস এ্যাডভাইজার (এফবিএ) গণের সাথে আলোচনা পর্যালোচনা শুরু হয়। বাজার মুল্য নির্ণয় ও রপ্তানীযোগ্য আলুর শর্ত পূরনে যা হারবিনজার ইন্টারন্যাশনাল তাদের চুক্তিপত্রে উল্লেখ করেছিল। রপ্তানিযোগ্য আলু প্রদানের শর্ত পূরণ ও দাম নির্ধারণ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্তে তিনটি ফার্ম বিজনেস গ্রুপ (এফবিজি) এর ছয়জন এফবিএ একমত পোষন করেন এবং আলু ফার্ম বিজনেস গ্রুপ এফবিজি ভুক্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারী কৃষকদের নিকট থেকে সংগ্রহ করে রপ্তানী করতে সম্মতি প্রদান করে। তাদের মধ্যে হারাগাছ ফার্ম বিজনেস গ্রুপ (এফবিজি) এর মুকুল মিয়া, সারাই এফবিজি এর জামান ও হিরু মিয়া এবং পায়রাবন্দ এফবিজি এর আমিরুল ইসলাম অন্যতম।
প্রুফস প্রকল্পের সহায়তায় নির্বাচিত এফবিএ গণের মাধ্যমে হারবিনজার ইন্টারন্যাশনাল শ্রীলকায় প্রাথমিকভাবে ১৬৮ মেট্রিক টন আলু রপ্তানী করে। গত ৯ই মার্চ হারাগাছ, সারাই ও পায়রাবন্দ এফবিজি থেকে প্রথম চালান হিসাবে ১৬৮ মেট্রিক টন আলু হারবিনজার ইন্টারন্যাশনাল কে প্রদান করা হয়। এই প্রক্রিয়া সম্পাদন করতে গিয়ে গ্রেডিং ও সর্টিং বাবদ এফবিজি ভুক্ত হত দরিদ্র মহিলা ও পুরুষ সদস্যগন অংশগ্রহন করে আর্থিক ভাবে লাভবান হয়েছে। নগদ অর্থ প্রাপ্তির ফলে কৃষকরা অন্যান্য ফসল বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদনে সরাসরি উৎসাহিত হচ্ছেন এবং ভাগ্য উন্নয়ন অন্বেষণের চেষ্টা করছেন, যে ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগীতা করছে প্রুফস প্রকল্প।
হারাগাছ সারাই এলাকার প্রান্তিক আলু চাষি জামান মিয়া জানান প্রুফসের উদ্যোগের ফলে আলুর মত আমরা যদি অন্যান্য ফসলেও রপ্তানির পথ পেতাম তাহলে আমারা আর্থিকভাবে আরো লাভবান হতাম এবং কৃষি পণ্য উৎপাদনে উৎসাহ পেতাম। প্রুফসের সেলস্ প্রমোশন অফিসার এনামুল হক জানান এই প্রকল্পের আওতায় পরর্বতীতে আলু ও অন্যান্য ফসল বাণিজ্যিক ভাবে রপ্তানীর ক্ষেত্রে এফবিএ গণের মাধ্যমে কৃষকদেরকে সকল প্রকার সহায়তা অব্যাহত রাখবে প্রুফস প্রকল্প।