বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. আব্দুল হাই ও বিচারপতি কৃষ্ণ দেব নাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ এ রায় দেন।
খালাস পাওয়া চারজন হচ্ছেন- সাজ্জাদ হোসেন খান, আলমগীর কবির, আজম ও মো. সোলায়মান।
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল।
২০০০ সালের জুলাই মাসে সড়কে একটি মাইক্রোবাসে থাকা ছাত্রলীগের আট নেতাকর্মীকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের খুনের এই ঘটনায় দেশজুড়ে আলোচনা উঠেছিল।
চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানার কালামিয়ার বাজারে মহানগর ছাত্রলীগের এক সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ছাত্রলীগের ওই নেতাকর্মীরা। পথে গুলিবর্ষণে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত হন।
এরা হলেন- মো. হাসিবুর রহমান হেলাল, রফিকুল ইসলাম সোহাগ, জাহাঙ্গীর হোসেন, আজিজুল ইসলাম বাবু, গাড়িচালক মনু। পরে হাসপাতালে মারা যান আবুল কাশেম, জাহাঙ্গীর আলম ও জাহিদ হোসেন।
এরপর এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয় ২০০৮ সালে। সে মামলায় সাতজন আসামির মধ্যে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং তিনজনকে যাবজ্জীবন দেন বিচারিক আদালত। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত চারজনই আপিলের রায়ে খালাস পেয়েছেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তিনজন পলাতক রয়েছেন।