দৈনিক বার্তা: শ্রীনগরে দিবালোকে ইউনিয়ন পরিষদের কক্ষে এক নারী গ্রাম পুলিশকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে আরেক পুরুষ গ্রাম পুলিশ। আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদে এঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়,্ ঐ ইউনিয়ন পরিষদের নারী গ্রামপুলিশ দুই সন্তানের জননী। সকাল নয়টার দিকে প্রতিদিনের ন্যায় অফিসে আসলে পুরুষ গ্রামপুলিশ চার সন্তানের জনক লালমিয়া (৪৫) ইউনিয়ন পরিষদে তালা খুলে দেয়। পরে লালমিয়া ফাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে নিয়ে পারভীনকে ধর্ষণের পর গলায় গামছা পেছিয়ে হত্যা করে। কিছুক্ষন পর ষোলঘর গ্রামের বাসিন্দা পুলিশের অবসর প্রাপ্ত হাবিলদার হাজী খায়রুল অলম, গ্রাম পুলিশ সিরাজসহ কয়েকজন ইউনিয়ন পরিষদে আসলে লাল মিয়া তাদের কক্ষে ঢুকতে না দিয়ে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে উপস্থিত লোকজনের সন্দেহ হলে তারা ইউপি সদস্যদের খবর দেন। পরে ইউপি সদস্যরা কক্ষে ঢুকে নারী গ্রাম পুলিশের নিথর দেহ দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এ ব্যপারে ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম জানান, ওই নারী গ্রামপুলিশ প্রায় আট বছর ধরে কাজ করছেন। অপরদিকে লালমিয়ার বাড়ি সমসাবাদ গ্রামে। ইউনিয়ন পরিষদে সে দশ বছর ধরে গ্রাম পুলিশ হিসাবে কাজ করলেও খুবই ধূর্ত প্রকৃতির লোক। শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, নিহতের বড় ছেলে আসাদুল বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।