দৈনিক বার্তা: আবু বকর সিদ্দিক অপহরনের ঘটনায় রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আবু বকর সিদ্দিকের স্ত্রী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ্য করেন, তার স্বামী আবু বকর সিদ্দিক ফতুল্লার পোস্ট অফিস রোডস্থ হামিদ ফ্যাশন থেকে ঢাকার বাসায় যাওয়ার পথে নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা লিংক রোডের ভুইগড় এলাকার ভুইয়া ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে একটি ব্লু রংয়ের মাইক্রোবাস যোগে আসা ৭/৮ জন দুর্বত্ত অস্ত্রের মুখে তাকে অপহরন করে নিয়ে যায়। মামলায় তিনি বলেন, অপহরনটি পুর্ব পরিকল্পিত। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আকতার হোসেন মামলা দায়েরের কথা স্বীকার করেছেন।
পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানান, অপহৃত আবু বকর সিদ্দিককে উদ্ধারে পুলিশ, ডিবি ও র্যাবের ১২টি টিম অভিযানে নেমেছে। নারায়ণগঞ্জ শহরের জামতলা এলাকার আবুল কালাম নামে এক ব্যক্তি রাতে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে জানান, দুপুর সোয়া ৩টার দিকে তিনি ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড দিয়ে সাইনবোর্ড যাচ্ছিলেন গাড়িতে গ্যাস নিতে। গাড়িটি দেলপাড়া ভূইয়া পেট্রোল পাম্পের সামনে যাওয়ার পর দেখেন একটি গাড়ি থেকে এক ব্যক্তিকে (আবু বক্কর সিদ্দিক) জোর করে টেনে নামানো হচ্ছে। টি-শার্ট পড়া কয়েকজন যুবক ওই ব্যক্তিকে জোর করে একটি নীল রঙের গাড়িতে তুলে ঢাকা-নারায়ণঞ্জ লিংকরোডের সাইনবোর্ডের দিকে রওনা দেয়। আবুল কালাম আরও জানান, অপহরণকারীদের গাড়ির পেছনেই ছিল তার গাড়িটি। দুটি গাড়িই সাইনবোর্ড এলাকাতে পৌঁছানোর পর আবুল কালামের গাড়ি সড়কের পূর্ব পাশে চৌরঙ্গী সিএনজি পাম্পে প্রবেশ করে আর নীল রঙয়ের গাড়িটি ঢাকার দিকে চলে যায়। কালাম জানান, নীল রঙয়ের যে গাড়ি দিয়ে অপহরণ করা হয়েছে তার পেছনে নম্বর পে¬টের পুরো নম্বরটি মনে রাখা সম্ভব হয়নি। তবে নম্বরের আগে ‘চট্র মেট্রো’ শব্দ দুটি মনে আছে।