দৈনিক বার্তা: সব ব্যবসায়ীরা কর কমানোর চিন্তা করছেন। কিন্তু কেউ কর বাড়ানোর কথা বলছেন না। সবাই যদি কর কমানোর চিন্তা করেন তাহলে সরকারের আয় হবে কোথা থেকে।তাই কর কমানোর চিন্তা না করে কোন কোন খাতে কর বাড়ানো যায় সে চিন্তা করুন। আমাদের লক্ষ্যমাত্রার ১ লাখ ৪৯ হাজার কোটি টাকা তো ব্যবসায়ীদের দেয়া কর থেকেই আসবে।
বুধবার সকালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) প্রাক বাজেট আলোচনায় (২০১৪-২০১৫) এনবিআর চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন এসব কথা বলেন।তিনি আরো বলেন, আমরা টাকার জন্য বিভিন্ন ধরণের পণ্যের পাশাপাশি প্রচুর মাছ রপ্তানী করি। ভালো ভালো মাছগুলো আমরা টাকার জন্যই রপ্তানি করি। কিন্তু রপ্তানীর পাশাপাশি দেশের মানুষকেও ভালো মাছ পাওয়ার সুযোগ দিতে হবে। যাতে দেশের মানুষও তাদের প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে পারে।
এদিকে প্রাক বাজেট আলোচনায় বিভিন্ন এসোসিয়েশন তাদের প্রস্তাবনা উল্লেখ করেন। এসময় বাংলাদেশ প্লাষ্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানীকারক এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আমদানী শুল্ক মওকুফ, খেলনার খুচরা যন্ত্রাংশের ওপর ২০ শতাংশ কর প্রত্যাহার ও এ শিল্পের জন্য আমদানী করা মৌলিক কাঁচামাল ডিউটি ফ্রি করার প্রস্তাবনা দেয়া হয়।
এছাড়া বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে কস্ট অব প্রডাক্ট কমানোর জন্য উৎসে কর ০.৮০ থেকে কমিয়ে ০.৩০ শতাংশে আনার প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া এ খাতে নগদ সহায়তার উপর অগ্রিম কর গ্রহন না করার প্রস্তাবনাও দেয়া হয়।
বাংলাক্রাফটের পক্ষ থেকে উৎসে কর মওকুফ,এ খাতের সাথে সংশ্লিষ্টদের অয়কর ও মূল্য সংযোজন করমুক্ত রাখা প্রস্তাবনা দেয়া হয়। জামদানী শিল্পের বিকাশের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ জামদানী ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন। বাংলাদেশ এমব্রয়ডারী ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন তাদের পণ্যের ওপর ডিউটি ও কর মুক্ত সুবিধা চেয়ে প্রস্তাবনা দিয়েছে। আর বাংলাদেশ ফ্ল্যাক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্ট এসোসিয়েশন পাটজাত দ্রব্য শাক সবজি চামড়াজাত দ্রব্য ও প্যাকেটজাত দ্রব্যের ওপর অগ্রিম উৎসে কর না নেয়ার প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বন্ড সুবিধাবিহীন রপ্তানী খাতের বিভিন্ন এসোসিয়েশন আলোচনায় অংশ গ্রহণ করে। এখানে ৩৬ টি এসোসিয়েশন উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও মাত্র ১৪ টি তাদের প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা করে।