1দৈনিক বার্তা: ভাই-বোনের সম্পর্ককে দূরে সরিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বরুণ গান্ধীকে এবার ঝাঁঝালো আক্রমণ করলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী।বরুণকে ঝাঁঝালো আক্রমণ প্রিয়ঙ্কার
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাজনীতিতে তার আনুষ্ঠানিক প্রবেশের দিনক্ষণ নিয়ে জল্পনা দীর্ঘদিনের হলেও, সম্ভবত এই প্রথম ঝাঁঝালো রাজনৈতিক আক্রমণ শোনা গেল রাজীব তনয়ার গলায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনাচক্রে সেই আক্রমণে বিদ্ধ হলেন সঞ্জয়-তনয়। অলিখিত প্রথা ভেঙে সম্ভবত প্রথম ভাই-বোনের সম্পর্ককে দূরে সরিয়ে রেখে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বরুণ গান্ধীকে আক্রমণ করলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। তিনদিন আগে অমেঠির কর্মীসভায় বলেছিলেন, বরুণ ভুল রাস্তায় গিয়েছে। মঙ্গলবার সেই প্রসঙ্গে প্রথম মুখ খোলেন বরুণ। সুলতানপুর থেকে মনোনয়ন দাখিল করতে গিয়ে তিনি বলেন,  আমি কোন রাস্তায় গিয়েছি, তা নিয়েও অনেক কথা হচ্ছে। তবে আমার থেকে বেশি জরুরি দেশ কোন পথে যাচ্ছে। ব্যক্তিগত আক্রমণ বন্ধ করে, ইস্যুভিত্তিক লড়াই হোক।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুলতানপুর থেকে মনোনয়ন পেশের পর, পরিবারতন্ত্রের প্রসঙ্গ তুলে তিনি ফের কটাক্ষ করেন। আর এই মন্তব্যের পরই ফের একবার খুড়তুতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে সুর চড়ান প্রিয়ঙ্কা। তিনি বলেন, বরুণ পরিবারের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, আমার বাবা রাজীব গান্ধী দেশের সংহতি বজায় রাখার জন্য প্রাণ দিয়েছেন। আমি সেই আত্মত্যাগকে অশ্রদ্ধা করতে পারিনা। আমার সন্তানও যদি সেই কাজ করে তাহলে তাকেও আমি ক্ষমা করব না।

এবিপি আনন্দ’র প্রতিবেদনে বলা হয়, দল আলাদা হলেও কখনও রাহুল-প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে বরুণের সম্পর্কে তার প্রভাব পড়েনি। বরং এতদিন ভোটের প্রচারে কখনও একে অন্যের পথে আসেননি তারা। কিন্তু, যে দলের হয়ে বরুণ ভোটে লড়ছেন, সেই বিজেপির তরফে বারবার গান্ধী পরিবারের দিকে আক্রমণই কি প্রিয়ঙ্কার ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।