3নুর ইনায়েত খান। জন্ম সোভিয়েত ইউনিয়নে ১৯১৪ সালের ২ জানুয়ারি । জন্মগত তিনি ভারতীয় হলেও শৈশবকালে তার পরিবার ইংল্যান্ডে চলে যায়। পরবর্তীতে ফ্রান্সে। আর ফ্রান্সেই নুর ইনায়েত খান হয়ে উঠেন লেখিকা। নাজি যখন ফ্রান্সকে আক্রমন করে তখন নুর ইনায়েত ইংল্যান্ডে পালিয়ে আসেন এবং উইমেন অক্সিলিয়ায়রি এয়ারফোর্সে  যোগ দেন। অবশেষে তাকে এসওইতে রেডিও অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।একাধারে অনেক ভাষা জানতেন তিনি। তখন তার কোড নাম ছিল মেডলিন। দখল হওয়া ফ্রান্সে পাঠানো তিনিই প্রথম নারী রেডিও অপারেটর। ফ্রান্সে পৌঁছানো (১৯৪৩) তার গ্রুপের অধিকাংশ সদস্যই গ্রেপ্তার হয় খুব দ্রুত। নুর ইনায়েত খান  গ্রেপ্তার এড়াতে বিভিন্ন জায়গায় তখন পালিয়ে বেড়ান।
জার্মানি ইনটেলিজেন্সের হাতে ধরা পরার আগে তিনি ফ্রান্সে তিন মাস স্পাই হিসাবে তথ্য সংগ্রহ করেন। একজন ফ্রেঞ্চ পাইলট টর্চারের মুখে তার অবস্থান গেস্টাপোর কাছে ফাঁস করে দেয়। জার্মান সিক্রেট এজেন্টরা ইনটারোগেট করে কোন তথ্য বের করতে ব্যর্থ হয় কিন্তু তার রুম সার্চ করে তার গোপন নথি খুঁজে পাওয়া যায়। যার সাহায্যে জার্মানরা তার নামে ফ্রেঞ্চ ইনটেলিজেন্সকে ভুল তথ্য পাঠানো শুরু করে। কিন্তু নুর তার কোড ভুল বলার কারনে ফ্রেঞ্চ ইনটেলিজেন্স জার্মানিদের চাল বুঝে যায়। তিনি ফ্রান্সে অবস্থিত জার্মান জেল থাকে দুই বার পালানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেন। ভবিষতে পালাবেন না এই মর্মে কনফার্মেশন নিতে ব্যর্থ হয়ে ২৭শে নভেম্বর তাকে for safe custody এর জন্য জার্মানীতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী ১০ মাস হাজার বার টর্চার ও ইনটারোগেটের মুখোমুখি হলেও তিনি তার আসল নামটাও প্রকাশ করেন নি। এ সময় তাকে ২৪ ঘন্টা হাতকরা পরিয়ে রাখা হতো। জার্মান ইমটেলিজেন্স তাকে highly dangerous হিসাবে ক্লাসিফাই করে। জার্মানরা তাকে এতোটাই সতর্কতার সাথে জার্মানিতে পাঠায় যে ফ্রেন্চ ইনটেলিজেন্সের তালিকায় তার ফাইলের উপর Nacht und Nebel (Condemned to Disappearance without Trace) সিল দেওয়া হয়। । ১১ই সেপ্টেম্বার ১৯৪৪ সালে নুর ও সাথে আরও তিনজন SOE agent Yolande Beekman, Eliane Plewman, ও I Madeleine কে Kulrsruhe prison theke Dachau Caoncentration Camp এ আনা হয়।
১৩ই সেপ্টেম্বার ১৯৪৪ সালে ভোর বেলা এই চারজন স্পাই কে মাথার পিছনে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে তাদের মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়।
George Cross, ১৯৪৯ সালে তিনি মরোনত্তর এই সম্মান পান। পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত মাত্র চারজন নারী এই সম্মান পেয়েছেন ২০১২ সালে তার সম্মানে লন্ডন গর্ডন স্কয়ারে একটি আবক্ষ মূর্তি উম্মোচন করা হয়। ১৩ই সেপ্টেম্বর ১৯৪৪ সালে মৃত্যুর আগের মুহুর্তে তিনি চিৎকার করে বলেন লিবর্টি।