দৈনিক বার্তা: দুনীতির মাধ্যমে আরব বাংলাদেশ (এবি) ব্যাংকের প্রায় সাড়ে নয় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কর্মকর্তাসহ ২০জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার দুপুরে মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।
অভিযুক্তরা হলেন-এবি ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার এমএম মাকছুদ মজুমদার, জালিয়াত চক্রের সদস্য আতিকুর রহমান, তৌহিদ মাহমুদ,নজরুল ইসলাম, আব্দুল খালেক ওরফে ওমর চন্দ্র দাস, আব্দুল কাইয়ুম মোল্লা, মো. জামাল উদ্দিন হাওলাদার, মো. দুলাল হাওলাদার,জাকির শেখ,কাজী জসিমুল ইসলাম, কাজী জহিরুল ইসলাম, জাকির হোসেন, মো. শাহ আলম, তানভীর মাশফু, এইচ এম বারিক, আমিনুল ইসলাম, আইনুল হক, আসাদুজ্জামান মিঠু, মো. নুরুজ্জামান ফকির, মিসেস মুরশিদা আফরিন।
দুদক সূত্র জানায়, ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে একটি জালিয়াতি চক্র সঞ্চয়পত্রের বিপরীতে ব্যাংক থেকে নয় কোটি ২৭ লাখ ৯১ হাজার টাকা আত্মসাত করার অভিযোগে এবি ব্যাংকের মোহাম্মদপুর শাখার ব্যবস্থাপকসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেছিল দুদক। পরবর্তীতে দুদকের তদন্তে আরও পাঁচজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। কিন্তু ব্যাংকটির ম্যানেজার এমএম আসিরুল ইসলাম মারা যাওয়ায় চার্জশিটে মোট ২০ জনকে আসামি করা হয়।
সূত্র আরো জানায়, একটি জালিয়াত চক্র নিজেদের নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে খুলনা অক্সিজেন নামে একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠান খোলে। চক্রটি প্রতিষ্ঠানের নামে এবি ব্যাংক ধানমন্ডি শাখায় ২০০৪ সাল থেকে ২০০৭ সালের বিভিন্ন সময়ে ২০ কোটি টাকার জাল সঞ্চয়পত্র জমা করে। আর এ সঞ্চয়পত্রের বিপরীতে ব্যাংক থেকে নয় কোটি ২৭ লাখ ৯১ হাজার টাকা উত্তোলন করে তারা। আর ব্যাংকের ম্যনেজারসহ ঋণ ইস্যুকারী কর্মকর্তা লাভবান হওয়ার আশায় সঞ্চয়পত্রগুলো যাচাই-বাছাই না করে জালিয়াতি চক্রকে ধারাবাহিকভাবে ঋণ দিতে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে ঋণ উত্তোলনের পর ব্যাংকের এসব টাকা পরিশোধ না করে পরস্পর যোগসাজসে আসামিরা আত্মসাৎ করে।
তদন্ত শেষে মামলার এসব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দন্ডবিধির ৪০৯/১০৯ এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ৫(২) ধারায় চার্জশিট দাখিল করে দুদক।