দৈনিক বার্তা: চাঁদপুরে বাগানের একটি ফুল ছেড়ার অপরাধে প্রাণ দিতে হলো শিশু শান্ত মোল্লাকে (৭)। ১২ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শনিবার সকালে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শান্ত মারা যায়।
শান্ত চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের সাহেব বাজার এলাকার আবদুশ শুক্কুর মোল্লার ছোট ছেলে। সে চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্র।
শান্তর মা শিমু বেগম অভিযোগ করেন, ১ এপ্রিল স্কুলে যায় শান্ত। স্কুল মাঠের বাগান থেকে একটি ফুল ছেড়ে সে। ফুল ছিড়তে দেখে পাশের বাড়ির শাহ আলম গাজী শান্তকে মারধর করে। এক পর্যায়ে শান্তকে উপর থেকে সজোরে মাটিতে ফেলে দেয়। এতে শান্ত পায়ে ব্যথা পেয়েছে বললে মাঠের পাশে পুকুরে নামিয়ে সাঁতার কাটতে বলে আলম। কিন্তু শান্ত সাঁতার দিতে পারছিল না। শান্তকে পুকুরে দেখে তার বড় ভাই সুজন মোল্লা শান্তকে ডাক দেয়। সুজনের ডাক শুনে আলম ঘটনাস্থল থেকে সরে যায়।
শিমু বেগম আরও জানান, সেখান থেকে শান্তকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক শান্তর ডান পা ভেঙে গেছে বলে জানান। ১২ দিন হাসপাতালের বেডে যন্ত্রণায় কাতরানোর পর শনিবার সকালে শান্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ুম জানান, আলম গাজী, নজরুল গাজী ও প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবিরসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ পেয়েছি। আমরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছি।