দৈনিক বার্তা: ক্রাইমিয়ার পর এবার ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলেও যেভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা শুরু হয়েছে, তাতে উদ্বিগ্ন ইউক্রেনের সরকার এসব অঞ্চলের হাতে অধিকতর ক্ষমতা দেয়ার অঙ্গীকার করছে।
অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী আর্সেনি ইয়াৎসেনিয়ুক আজ শুক্রবার পূর্বাঞ্চলীয় শহর দোনেৎস্কে গিয়ে এই ঘোষণা দেন।
ইউক্রেন অভিযোগ করছে, রাশিয়া ঐ অঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতায় মদত দিচ্ছে।
আর্সেনি ইয়াৎসেনিয়ুক দেশের পূর্বাঞ্চলে স্থানীয় নেতাদের বলেছেন ওই এলাকায় আরো ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে কতটা ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করতে তিনি রাজি সেটা নিয়ে তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলেন নি।
এছাড়াও যতটুকু ক্ষমতা দেওয়া হবে তা ইউক্রেনের শিল্প সমৃদ্ধ পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দাবি কতটা মেটাতে পারবে সেটাও স্পষ্ট নয়।
মিঃ ইয়াৎসেনিয়ুক পূর্বাঞ্চলে দোনেৎস্ক শহরে গেছেন রুশ-পন্থী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যে অচলাবস্থা চলছে তা নিরসনের একটা চেষ্টায়।
সশস্ত্র রুশ-পন্থী আন্দোলনকারীরা সেখানে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে স্থানীয় সরকারের একটি ভবন দখল করে রেখেছে এবং ইউক্রেন থেকে তারা স্বাধীন বলে ঘোষণা করেছে।
রুশ-পন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তিনি বলেছেন তারা যেন স্থানীয় জনগণকে জানান যে কিয়েভ সরকার পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।
রুশ গ্যাসের সরবরাহ, এবং সৈন্য মোতায়েন নিয়ে রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই মিঃ ইয়াৎসেনিয়ুক এই সফরে গেলেন।
ইউক্রেন রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল এবং বকেয়া বিলের অভিযোগ নিয়ে দুই দেশ একটা বিতর্কে জড়িয়ে আছে।
এদিকে নেটো বলছে ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে প্রায় ৪০ হাজার রুশ সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে মিঃ ইয়াৎসেনিয়ুক ওই এলাকায় কিছুটা স্বায়ত্তশাসন দেওয়ার বিস্তারিত নিয়ে কথাবার্তা বলবেন।
তবে ক্রাইমিয়ায় গত মাসে যে ধরনের গণভোট হয়েছিল ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ চায় না পূর্বাঞ্চলেও একইধরনের গণভোট হোক্।
বুধবারই ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন আলোচনা বা শক্তিপ্রয়োগ যে কোনো উপায়েই পূর্বাঞ্চলের সমস্যা তারা নিয়ন্ত্রণে আনবেন।
দোনেৎস্ক ছাড়াও পূর্বাঞ্চলের অন্য আরেকটি শহরেও মিঃ ইয়াৎসেনিয়ুক যাবেন যেখানে বিক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে।