1দৈনিক বার্তা:  সরকারকে অবৈধ ঘোষণা দিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, সরকার দেশ পরিচালনায় জনস্বার্থের প্রতি তাচ্ছিল্য প্রদর্শন করে গুম, খুন ও অপহরণের ওপর নির্ভর করার কারণেই সমাজে এখন ভয়ঙ্কর নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামী দুঃশাসনের ফলে মানুষের জান মালের নিরাপত্তা চরম হুমকির সম্মুক্ষীণ। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে, নিজেদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে দল গুছিয়ে সরকার পতনে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে খালেদা জিয়া পঞ্চগড়, নীলফামারী ও সৈয়দপুরের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। বৈঠক চলে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত।
বৈঠক সূত্র জানায়, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য এখন দুঃসময় চললেও তাকে বেশি দিন চলতে দেয়া যাবে না। তাই নিজেদের মৌলিক অধিকার রক্ষায় যে কোনো মূল্যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। নিজেদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে দল গুছিয়ে সরকার পতনে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি চেয়ারপার্সন।
খালেদা জিয়া বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার দেশ পরিচালনায় জনস্বার্থের প্রতি তাচ্ছিল্য প্রদর্শন করে গুম, খুন ও অপহরণের ওপর নির্ভর করার কারণেই সমাজে এখন ভয়ঙ্কর নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামী দুঃশাসনের ফলে মানুষের জান মালের নিরাপত্তা চরম হুমকির সম্মুক্ষীণ। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
এসময় বৈঠকে তৃণমূল নেতাদের বলা হয় তিস্তার পানির দূরবস্থার জন্য দলের পক্ষে শিগগিরই লংমার্চ করার পাশাপাশি সেখানে একটি জনসমাবেশ করা হবে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে। তবে কবে লংমার্চ করা হবে তার তারিখ চূড়ান্ত করা হয়নি।
সূত্র জানায় সভায় পঞ্চগড়ে এ হাসানকে প্রধান করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট ও সৈয়দপুরে অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকারকে প্রধান করে ২২ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। যাদেরকে আগামী এক মাসের মধ্যে জেলার প্রতিটি থানা কমিটি ও অঙ্গ সংগঠনের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে নীলফামারীতে আহ্বায়ক কমিটি থাকায় তাদের সময় আরো দেড় মাস বাড়ানো হয়েছে।
এ সময় পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সভাপতি মোজাহার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো. নাজমুল হক, নীলফামারী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনিসুল আরেফিন চৌধুরী, সদস্য সচিব শামসুজ্জামান এবং সাংগঠনিক জেলা সৈয়দপুরের সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকার, সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেনসহ প্রায় দেড়শতাধিক তৃণমূল নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনু, মো. শাহজাহান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, বরকত উল্লাহ বুলু উপস্থিত ছিলেন।