দৈনিক বার্তা: দ্য টাইটান ইজ ডেড। নির্ভয়ে, অকূতভয়ে তিনি বাক স্বাধীনতার জন্য লড়েছেন। ভয়কে তিনি কখনও আশ্রয় দেননি। যা বলার নির্ভয়ে বলে গেছেন। একজন মানুষ হিসেবে, একজন সাংবাদিক হিসেবে তিনি সময়ের সবচে’ সাহসী কথাগুলো বলে গেছেন। আমরা অনেক কথা বলতে চেয়েও পারিনি- কিন্তু এবিএম মূসা ছিলেন একেবারেই এর বাইরে। তিনি এগিয়ে গেছেন সব ছাপিয়ে সবার সামনে।
ফেনীর ছাগলনাইয়ার এই মানুষটি এতদূর এগিয়ে যাওয়ার পেছনে অনেক বড়গুন কাজ করেছে। মারাত্মক অনুসন্ধানী এই মানুষটির কর্মজীবন শুরু করেছিলেন সংবাদপত্র দিয়েই। তারপর নানা ক্ষেত্রে একের পর এক ভূমিকা রেখে গেছেন। পাকিস্তান আমলে যখন স্বায়ত্বশাসনের দাবিতে পূর্ববঙ্গে দূর্বার আন্দোলন চলছে- তখন এবিএম মূসা অবজারভারে বার্তা সম্পাদকের পদে থেকে অত্যন্ত বলিষ্ট ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি শুধু একজন বার্তা সম্পাদকের পদ থেকে সম্পাদনার কাজ করে গেছেন, তা নয় ছিলেন একজন শিক্ষকও।
তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টা থাকাকলীন একদিন তিনি আমার অফিসে এসেছিলেন। তিনি এসে সরাসরি আমার অফিসে প্রবেশ করেননি। আমার এপিএস-এর কক্ষে বসেন। এপিএস মূসা ভাইকে চিনতে পেরে অনেক অনুরোধ করলেন, আপনি একজন সিনিয়র সাংবাদিক। আপনি এখানে বসে আছেন স্যার জানলে খুব রাগ করবেন। আপনি ভেতরে গিয়ে বসুন। কিন্তু এপিএস-এর অনুরোধ সত্বেও তিনি তা করলেন না। উল্টো এপিএসকে বললেন, মাহবুব সাংবাদিকতা পেশায় আমার জুনিয়র হতে পারে। কিন্তু আফটার অল বর্তমানে তিনি একজন মন্ত্রী। তার অনেক কাজ থাকতে পারে। কাজেই আগে ভেতরে গিয়ে অনুমতি নিয়ে আসুন। তারপর আমি যাবো। এই ছিলেন এবিএম মূসা। এতটাই বিনয়ী ও মূল্যবোধ সম্পন্ন ছিলেন মানুষটি। তিনি সাংবাদিকতার মাইলফলক। বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের জন্যও তিনি মাইলফলক হিসেবেই বেঁচে থাকবেন।