দৈনিক বার্তা: বসিরহাট থানার চকুয়া পঞ্চায়েতের মির্জানগর গ্রামের পূর্বপাড়ার এক বাড়িতে মঙ্গলবার গভীর রাতে চড়াও হয় তিন দুষ্কৃতী। ছেলেদের ঘরের মধ্যে আটকে স্বামীকে মারধর করে বেঁধে রেখে তাঁরই সামনে ধর্ষণ করে লক্ষাধিক টাকার জিনিসপত্র লুঠ করে পালায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানায়, গুরুতর অবস্থায় এই মহিলাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার ওই গ্রামে তদন্তে যান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বসিরহাটের এসডিপিও অভিজিত বন্দ্যোপাধ্যায় ও বসিরহাট থানার আইসি প্রসেনজিত দাস। ভাস্করবাবু বলেন, ‘‘ধর্ষণ এবং লুঠপাটের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। মহিলার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দোষীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’’
গত তিন দিনের মধ্যে এই নিয়ে বসিরহাটের বিভিন্ন এলাকার তিনটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুঠপাট এবং পরিবারের লোকজনদের মারধর করার ঘটনা ঘটলেও এক জন দুষ্কৃতীকেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতায় সব্জির ব্যবসা করেন আক্রান্ত মহিলার স্বামী। এ দিন রাতে একটি ঘরে দুই ছেলে ও অন্য ঘরে স্ত্রীকে নিয়ে শুয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী। রাত দুটো নাগাদ তিন দুষ্কৃতী বাড়ির সামনে গ্রিলের গেটের তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে প্রথমে ছেলেদের ঘরের দরজা বাইরে থেকে শিকল তুলে দেয়। এর পর ওই ব্যবসায়ীর ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে তারা। ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সী তিন দুষ্কৃতীর হাতে ছিল শাবল। এক জন বিছানায় উঠে ওই ব্যবসায়ীকে আক্রমণ করে। বাধা দিতে গেলে স্ত্রীকে শাবল দিয়ে আঘাত করে। আলমারির চাবি দিতে দেরি হওয়ায় ব্যবসায়ীর বাঁ চোখে শাবল দিয়ে আঘাত করে তারা। খুনের হুমকি দেওয়ায় স্ত্রী চটজলদি আলমারির চাবি দিয়ে দেন। এর পর দু’টো আলমারি খুলে নগদ বেশ কয়েক হাজার টাকা-সহ সোনা ও রুপো মিলিয়ে বেশ কয়েক ভরি অলঙ্কার হাতিয়ে নেয়।
পুলিশের কাছে ঘটনার সবিস্তার বিবরণ দিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ব্যবসায়ী। তিনি জানান, মারধর করার পরে দুষ্কৃতীরা গামছা দিয়ে তাঁদের হাত-পা বেঁধে দেয়। এক দুষ্কৃতী তাঁর স্ত্রীকে বারান্দায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এ দিকে, একের পর এক ডাকাতি এবং মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় আতঙ্কিত বাসিন্দারা।