2দৈনিক বার্তা: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ছাত্রলীগ নেতা সাদ হত্যার ঘটনায় রেজাইল করিম রেজা, সুজয় কুমার কুন্ডু ও রোকনুজ্জামান রোকনকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। অভিযুক্ত অপর তিন জনকেও বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়। এদের মধ্যে দেওয়ান মো. মুফরাদ ও নাজমুত সাদাত রাসেলকে ৪ বছর এবং অন্তর চৌধুরীকে ২ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এদিকে এ ঘটনায় জড়িত বাকি ৮ জনের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না নেয়ায় এখনো বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কারাদেশ পাওয়া ছাত্রলীগ নেতা সুজয় কুমার কুন্ডু, রোকনুজ্জামান রোকন ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে পুলিশের কাছে জবানবন্দী দিয়েছে। এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ১৪ জনের নাম উল্লেখ করেন তারা।
ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আসন্ন অনুষদীয় সহ-সভাপতি নির্বাচন ও ক্লাশ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা ৩১ মার্চ ছাত্রলীগ নেতা সাদ ইবনে মমতাজ সাদকে পিটিয়ে আহত করে। তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ্ কেয়ার সেন্টারে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাত ৯টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে পাঠান। ওইদিন ভোরে হাসপাতালে সাদকে পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সকালে ট্রমা মেডিকেল সেন্টার ও হাসপাতালের বারান্দায় সাদের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
সাদ ইবনে মমতাজের হত্যাকারীদের ফাঁসি ও আজীবন ছাত্রত্ব বাতিলের দাবিতে গত বুধবার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে নানা কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যোগ দেন শিক্ষকরাও। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা হত্যাকাণ্ডের জন্য ছাত্রলীগ নেতা সুজয় কুমার কুণ্ডু ও রোকনুজ্জামানকে দায়ী করে তাদের গ্রেফতার ও উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে মামলায় অভিযুক্ত সুজয় কুমার কুণ্ডু ও রোকনুজ্জামানকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করে পুলিশ।
সুজয় কুমার কুণ্ডু  এবং ছাত্রলীগ কর্মী রোকনুজ্জামানকে সাদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বাকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতি মুর্শেদুজ্জামান খান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।