দৈনিক বার্তা: অবশেষে পঞ্চমে এসে সফল হলেন লংকানরা। আর অধিনায়কের হওয়ার পর টানা ৩টি ম্যাচেই জিতেছেন লাসিথ মালিঙ্গা। শেষ পর্যন্ত শ্রীলংকাকে পঞ্চমবারের মতো এসে শিরোপা জেতাতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবানই মনে করছেন এই পেসার। আগের দিন ম্যাচ শেষে মালিঙ্গ বলেন, ‘শেষ ৩টি ম্যাচে আমি আসলেই ভাগ্যবান অধিনায়ক। এটা মাহেলা (জয়াবর্ধনে) এবং সাঙ্গার (কুমার সাঙ্গাকারার) বিদায়ী ম্যাচ ছিল। দলের সবাই জানতেন, তাদের জন্য কী করতে হবে। ১০ বছর ধরে তাদের সঙ্গে খেলছি। এখন তাদের সামনে জয় পেয়ে ইনজয় করছি।’
বাংলাদেশে মালিঙ্গা এসেছিলেন শ্রীলংকা দলের একজন সাধারণ সদস্য হিসেবে। হ্যাঁ, ১০ বছর ধরে লংকানদের বোলিং আক্রমণের অন্যতম সেরা অনুষঙ্গ হিসেবে তিনি দলের সিনিয়রদের মধ্যে একজন। অধিনায়কত্ব থেকে দিনেশ চান্দিমালের স্বেচ্ছায় সরে যাওয়ায় দলের অধিনায়কত্বটা পেয়ে গিয়েছিলেন হঠাৎ করেই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লাসিথ মালিঙ্গার অবস্থান শ্রীলংকান ক্রিকেটের ইতিহাসেই। অর্জুনা রানাতুঙ্গার পর তিনিই যে শ্রীলংকার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। যে সাফল্য বার কয়েক চেষ্টার পরও ধরা দেয়নি কুমার সাঙ্গাকারা কিংবা মাহেলা জয়াবর্ধনের হাতে, তা-ই এসে ধরা দিল মালিঙ্গার কাছে। সৌভাগ্যের বরপুত্র বোধ হয় একেই বলে।
তবে ভাগ্যে আবার তেমন বিশ্বাস নেই লাসিথ মালিঙ্গার। রোববার শিরোপা নির্ধারণী খেলা শেষে যেমন বললেন, ‘পুরোটাই আমাদের পরিশ্রম। যোগ্যতা, প্রতিভা আর পরিশ্রমের ফল এই বিজয়। বলতে পারেন, সৌভাগ্য তো আমাদের হাতেই গড়া।’
মিডিয়ার সামনে যে তিনি সাঙ্গাকারা এবং জয়াবর্ধনের মতো ‘বিনয়ী’ নন, সেটা বোঝা গেল তার কয়েকটি কথাতেই। বেশ কয়েকটি জায়গাতেই ‘আমিত্ব’ প্রকাশ পেয়ে গেল তার শব্দ চয়নে। যদিও ইংরেজিটা খুব একটা ভালো বলতে পারেন না, কিন্তু অভিব্যক্তি প্রকাশে তিনি বেশ কড়া। সংবাদ সম্মেলনে একটি প্রশ্ন উঠেছিল_ ৭৮ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর লক্ষ্যে পেঁৗছার ব্যাপারে কি একটু শঙ্কা কাজ করছিল? উত্তরে মালিঙ্গাও ছুুড়লেন এক ফুলার ডেলিভারি, ‘এ আবার কেমন কথা! লক্ষ্যে পেঁৗছা নিয়ে সংশয় কেন থাকবে? থিসারা পেরেরাকে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের আগে পাঠানোর সিদ্ধান্তটি আমারই নেয়া। পেরেরা ফিরে এলেও ম্যাথুস তো ছিল। আমার সিদ্ধান্তটা যে সঠিক ছিল, সেটা তো শেষ অবধি প্রমাণিত হলো।’
দিনেশ চান্দিমালের জায়গায় হঠাৎ পাওয়া অধিনায়কত্ব নিয়েও ছুুড়লেন ইয়র্কার, ‘আমি তো আসলে চান্দিমালের দায়িত্ব পালন করেছি। তবে এটাও ঠিক, আমি শ্রীলংকার টি২০ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। কারণ, শেষ ৩টি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তো আমিই দলের নেতৃত্ব দিয়েছি। আমি ১০ বছর ধরে শ্রীলংকার হয়ে খেলছি। চান্দিমাল যদি মন্থর ওভাররেটের কারণে শাস্তি পায়, তাহলে আমার কী-ই বা করার আছে? আমার অভিজ্ঞতা থেকেই আমি জানি, দলে কার কী যোগ্যতা আছে।’
ফর্মহীন সাঙ্গাকারা কোন জাদুবলে ফাইনালে এমন জ্বলে উঠলেন, খেললেন ইতিহাস গড়া ইনিংস। লাসিথ মালিঙ্গার মতে, ‘এটা সত্যিই বিশেষ কিছু। আমি জানতাম, সাঙ্গা সময়মতো জ্বলে উঠবেই। ওকে আমি সেটা বলেছিও। কেবল একটি ইনিংসই ওর মতো ব্যাটসম্যানকে ফর্মে নিয়ে আসতে পারে। ফাইনালে শেষ পর্যন্ত সে ওটাই করে দেখিয়েছে আমাদের।’
এদিকে, শেষ ম্যাচে জয়ের কারণ হিসেবে মালিঙ্গা বলেন, ‘বোলার এবং ব্যাটসম্যানরা সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছেন। শেষদিকে বোলাররা ভালো করেছেন। সাঙ্গাকারা অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন।’
এবারকার বাংলাদেশ সফরের সব ক’টি সিরিজ এবং টুর্নামেন্টে জিতেছে শ্রীলংকা। তাই বাংলাদেশের ভেন্যুগুলোকে নিজেদের জন্য এবার দারুণ পয়মন্ত ভেন্যু হিসেবেই দেখছেন লংকান ক্রিকেটাররা।
বাংলাদেশে মালিঙ্গা এসেছিলেন শ্রীলংকা দলের একজন সাধারণ সদস্য হিসেবে। হ্যাঁ, ১০ বছর ধরে লংকানদের বোলিং আক্রমণের অন্যতম সেরা অনুষঙ্গ হিসেবে তিনি দলের সিনিয়রদের মধ্যে একজন। অধিনায়কত্ব থেকে দিনেশ চান্দিমালের স্বেচ্ছায় সরে যাওয়ায় দলের অধিনায়কত্বটা পেয়ে গিয়েছিলেন হঠাৎ করেই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লাসিথ মালিঙ্গার অবস্থান শ্রীলংকান ক্রিকেটের ইতিহাসেই। অর্জুনা রানাতুঙ্গার পর তিনিই যে শ্রীলংকার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। যে সাফল্য বার কয়েক চেষ্টার পরও ধরা দেয়নি কুমার সাঙ্গাকারা কিংবা মাহেলা জয়াবর্ধনের হাতে, তা-ই এসে ধরা দিল মালিঙ্গার কাছে। সৌভাগ্যের বরপুত্র বোধ হয় একেই বলে।
তবে ভাগ্যে আবার তেমন বিশ্বাস নেই লাসিথ মালিঙ্গার। রোববার শিরোপা নির্ধারণী খেলা শেষে যেমন বললেন, ‘পুরোটাই আমাদের পরিশ্রম। যোগ্যতা, প্রতিভা আর পরিশ্রমের ফল এই বিজয়। বলতে পারেন, সৌভাগ্য তো আমাদের হাতেই গড়া।’
মিডিয়ার সামনে যে তিনি সাঙ্গাকারা এবং জয়াবর্ধনের মতো ‘বিনয়ী’ নন, সেটা বোঝা গেল তার কয়েকটি কথাতেই। বেশ কয়েকটি জায়গাতেই ‘আমিত্ব’ প্রকাশ পেয়ে গেল তার শব্দ চয়নে। যদিও ইংরেজিটা খুব একটা ভালো বলতে পারেন না, কিন্তু অভিব্যক্তি প্রকাশে তিনি বেশ কড়া। সংবাদ সম্মেলনে একটি প্রশ্ন উঠেছিল_ ৭৮ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর লক্ষ্যে পেঁৗছার ব্যাপারে কি একটু শঙ্কা কাজ করছিল? উত্তরে মালিঙ্গাও ছুুড়লেন এক ফুলার ডেলিভারি, ‘এ আবার কেমন কথা! লক্ষ্যে পেঁৗছা নিয়ে সংশয় কেন থাকবে? থিসারা পেরেরাকে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের আগে পাঠানোর সিদ্ধান্তটি আমারই নেয়া। পেরেরা ফিরে এলেও ম্যাথুস তো ছিল। আমার সিদ্ধান্তটা যে সঠিক ছিল, সেটা তো শেষ অবধি প্রমাণিত হলো।’
দিনেশ চান্দিমালের জায়গায় হঠাৎ পাওয়া অধিনায়কত্ব নিয়েও ছুুড়লেন ইয়র্কার, ‘আমি তো আসলে চান্দিমালের দায়িত্ব পালন করেছি। তবে এটাও ঠিক, আমি শ্রীলংকার টি২০ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। কারণ, শেষ ৩টি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তো আমিই দলের নেতৃত্ব দিয়েছি। আমি ১০ বছর ধরে শ্রীলংকার হয়ে খেলছি। চান্দিমাল যদি মন্থর ওভাররেটের কারণে শাস্তি পায়, তাহলে আমার কী-ই বা করার আছে? আমার অভিজ্ঞতা থেকেই আমি জানি, দলে কার কী যোগ্যতা আছে।’
ফর্মহীন সাঙ্গাকারা কোন জাদুবলে ফাইনালে এমন জ্বলে উঠলেন, খেললেন ইতিহাস গড়া ইনিংস। লাসিথ মালিঙ্গার মতে, ‘এটা সত্যিই বিশেষ কিছু। আমি জানতাম, সাঙ্গা সময়মতো জ্বলে উঠবেই। ওকে আমি সেটা বলেছিও। কেবল একটি ইনিংসই ওর মতো ব্যাটসম্যানকে ফর্মে নিয়ে আসতে পারে। ফাইনালে শেষ পর্যন্ত সে ওটাই করে দেখিয়েছে আমাদের।’
এদিকে, শেষ ম্যাচে জয়ের কারণ হিসেবে মালিঙ্গা বলেন, ‘বোলার এবং ব্যাটসম্যানরা সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছেন। শেষদিকে বোলাররা ভালো করেছেন। সাঙ্গাকারা অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন।’
এবারকার বাংলাদেশ সফরের সব ক’টি সিরিজ এবং টুর্নামেন্টে জিতেছে শ্রীলংকা। তাই বাংলাদেশের ভেন্যুগুলোকে নিজেদের জন্য এবার দারুণ পয়মন্ত ভেন্যু হিসেবেই দেখছেন লংকান ক্রিকেটাররা।