দৈনিক বার্তা: ৫ এপ্রিল: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জিয়াউর রহমান নিজেকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ঘোষণা করে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। আর আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে কোনো দলই তখন তাকে চ্যালেঞ্জ করেনি।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, তিনি পাকিস্তানের চর’ সংসদে সরকারি দলের নেতাদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, যারা জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা বিশ্বাস ও স্বীকার করে না তারা প্রকৃত যুদ্ধাপরাধী, রাষ্ট্রদ্রোহী ও মুক্তিযুদ্ধ বিশ্বাস করে না। এমনকি তারা গণতন্ত্রও বিশ্বাস করে না।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জিয়াউর রহমান নিজেকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ঘোষণা করে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। আর আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে কোনো দলই তখন তাকে চ্যালেঞ্জ করেনি। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত তিনিই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন।
গয়েশ্বর বলেন, অনেকে বলেন থাকেন ৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। তাহলে ২০, ২১, ২৩ তারিখ বঙ্গভবনে শেখ মুজিবুর রহমান কেন জেনারেল ইয়াহিয়ার সঙ্গে বৈঠক করলেন। আওয়ামী লীগে মুক্তিযোদ্ধা যারা আছেন তারা প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।মানবন্ধনে বক্তব্য দেন ১৮ দলের শরিক জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের সভাপতি শ্যামা ওবায়েদ প্রমূখ।