2পাকিস্তানের ক্রিকেটে এ-ই হয়। একটা টুর্নামেন্টে বা সিরিজে ব্যর্থ হলেই শুরু হয়ে কাটাছেঁড়া। তদন্ত কমিটি গঠন, মুণ্ডুপাত। অধিনায়কের পদত্যাগ দাবি। প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি পাকিস্তান। স্বাভাবিকভাবেই মোহাম্মদ হাফিজকে শূলে চড়ানো হয়েছিল। তবে বিতর্ক জমে ওঠার আগে হাফিজ নিজে থেকেই সরে দাঁড়ালেন টি-টোয়েন্টির অধিনায়কের পদ থেকে।

শুধু তা-ই নয়, হাফিজ থাকছেন না পাকিস্তান ওয়ানডে ও টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক পদেও। অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি কোনো চাপের মুখে পদত্যাগ করেননি। এ-ও জানিয়েছেন, অন্য অধিনায়কের অধীনে খেলতেও কোনো আপত্তি নেই। লাহোরে পিসিবির সঙ্গে বৈঠক শেষে হাফিজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘দলের ব্যর্থতার সব দায়ভার মাথা পেতে নিয়েছি। আমি মোটেও চাপে নেই। মনে হয়েছে, দলের নেতা হিসেবে সকল দায় নিয়ে সরে যাওয়া উচিত।’

নতুন অধিনায়ক কে হচ্ছেন, এ প্রশ্নের জবাবে হাফিজ বলেন, ‘কে দলকে নেতৃত্বে দেবেন, সেটি পিসিবি সিদ্ধান্ত নেবে। তবে যেকোনো অধিনায়কের অধীনে খেলতে আমি প্রস্তুত। যেভাবে অধিনায়ক থাকাকালীন একজন খেলোয়াড় হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।’

২০১২-এর মে মাসে মিসবাহ-উল-হককে টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় হাফিজকে। আগের চারটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই পাকিস্তানের ধারাবাহিকতা উল্লেখ করার মতোই। তাই দলের এবারের ব্যর্থতা মেনে নিতে পারছেন না সমর্থক ও সাবেকরা। দল সুপার টেন থেকে বিদায় নেওয়ার পর অনেকেই উচ্চকিত হয়েছিলেন হাফিজের পদত্যাগ চেয়ে। এএফপি ও ওয়েবসাইট।