যৌতুকের দাবি ও পরপর তিন কন্যা সন্তান জন্মদানের অপরাধে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় রুনা খাতুন (৩০) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার পাল্লা গ্রামের ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও গৃহবধূর স্বজনেরা জানিয়েছে, প্রায় ১২ বছর আগে পাল্লা গ্রামের ফেলা মোল্যার ছেলে জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে ফরিদপুরের বোয়ালমারীর ঘোষপুর গ্রামের আব্দুল বাকি মোল্যার মেয়ে রুনার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে তাকে মারধর করত স্বামী জাহিদ।
তারা জানায়, পরপর তিন কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার অপরাধে ওই গৃহবধূর ওপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকে! গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যার দিকে স্বামী জাহিদুল রুনাকে মারধর করেন। এরপর রান্না ঘরের আড়ার সঙ্গে তাকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যান।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গৃহবধূ রুনার তিনিটি কন্যা সন্তান রয়েছে তাদের নাম মিতু (৭) রিতু (৫) জিতু (২)।
নিহত গৃববধূর ভাই দেলোয়ার হোসেনের দাবি, তার বোনকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখা হয়।
মহম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল আলম বলেন, “সুরাতহাল রিপোর্টে নিহতের শরীরের ডান কান ও পিঠসহ বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মহম্মদপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, তদন্ত চলছে। একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।